কলকাতা ব্যুরো: এই মহামারীর কবল থেকে নিজের রাজ্যকে বাঁচাতে এগিয়ে এল কণাটক সরকার। যদিও অন্যান্য রাজ্য নিজেদের মতো করে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা, অক্সিজেন বেড বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ চিকিৎসার পর্যাপ্ত বেড বাড়াতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় নয়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা নিজেদের উদ্যোগেই করোনা নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করছেন। যা সমাজের কাছে একটা নজর রাখছে। তবে কর্ণাটক যেমন নতুন করে করোনার তৃতীয় ধাক্কা আসার আগেই বাজেট বরাদ্দ করে নতুন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, অন্যান্য রাজ্য এই ধাপে, সে ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা পিছিয়ে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশংকায় এখনই মাঠে নামলো ইয়েদুরিয়াপার সরকার। কর্ণাটক সরকার রাজ্যের ১৪৯ টি তালুক ও ১৯ টি জেলা হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন করছে। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ণের রুপ দেওয়ার জন্য তিনমাস সময় চেয়েছে কর্নাটক রাজ্য সরকার।

এছাড়াও সোমবার কর্ণাটকের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডঃ অশ্বত নারায়াণা ঘোষণা করেছেন, ১৫০০ কোটির অর্ধেক টাকা লাগবে অবকাঠামো তৈরী করতে। প্রতিটি ডাক্তার ও গ্রুপ “ডি’ কর্মীদের জন্য তিন জন করে নার্স নিয়োগ করতে হবে, ৬০০ কোটি ব্যয় করা হবে তাদের বার্ষিক বেতন হিসাবে। আর প্রতিটি তালুক হাসপাতালে ২৫০ শয্যার আই সি ইউ ভেন্টিলেটরের সুবিধা, ২৫ শয্যার এইচ ডি ইউ, ৫০ টি অক্সিজেন যুক্ত বিছানা, এই সব সুবিধা ছাড়াও প্রতিটি হাসপাতালে সব ধরনের ডায়গনস্টিক সুবিধা থাকবে।
জাতীয় কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, কোভিড ১৯ পরিচালন সহায়তা কর্মসুচির আওত্তায় ৬টি দক্ষতা তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। কর্নাটকে এই কর্মসুচির আওত্তায় ৫০০০ সদস্যকে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে। তিন মাস প্রশিক্ষন দেওয়া হবে ও ৫০০০ টাকা উপবৃতি দেওয়া হবে। কোনও রোগীকে চিকিৎসার জন্য জেলা বা তালুকের বাইরে আসতে হবে না। প্রায় ৯৭% পরিষেবা অবশ্যই জেলার মধ্যে পাওয়া যাবে।
মামলার সংখ্যা হ্রাস পেলে ও ট্রাইজিং সেন্টার এবং কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলি যতক্ষণ না সমস্ত মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা না হয়, ততক্ষণ সচল রাখা দরকার বলে মনে করে সরকার। এর অর্থ, ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাদের কার্যকরী থাকা প্রয়োজন।
টিকাদান অভিযান চলছে এবং প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। শুধু জুন মাসেই, ব্যাঙ্গালোর প্রায় ৮০ লক্ষ ভ্যাকসিন পাবে। আগামী মাসগুলিতে এই যোগান আরো আরও বাড়ানো হবে। নারায়ণ জানিয়েছেন, ৪৫ বছরের উপরে বয়সীদের প্রায় ৫১ শতাংশই টিকা দেওয়া হয়েছে।
সভায় গৃহীত অন্যান্য মূল সিদ্ধান্তগুলি হ’ল:
রিমডেসিভির পাঁচ লক্ষ শিশুর বাফার স্টক রাখতে
কালো ছত্রাকের চিকিত্সার জন্য ওষুধ সংগ্রহ করা। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ কোভিডের তৃতীয় ধাক্কা সামাল দিতে পেডিয়াট্রিক কোভিড পরিকাঠামোগত উন্নতি করতে উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য নিজেকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কমিটি পেডিয়াট্রিক।বিভাগটি প্রায় 1000 সহ একটি পেডিয়াট্রিক কোভিড-কেয়ার ইউনিট স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে । 20% মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (পিসিইউ) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এমসিএইচ) এর প্রতি অনুগত ছিল। বুধবার স্বাস্থ্য ভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, এ সময় কী ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত সে বিষয়ে কমিটির কাছ থেকে মতামত নিয়েছিলেন।পেডিয়াট্রিক কোভিড অবকাঠামো বৃদ্ধি করার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি ফ্রন্টে প্রস্তুত থাকা: শয্যা প্রস্তুত রাখা, ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য চিকিত্সা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা, সংক্রামিত শিশুদের বিভিন্ন প্রয়োজনে চিকিৎসক ও নার্সদের মতো মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ দেওয়া। সভায় এই সমস্ত দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।এমসিএইচে এখন 25 পেডিয়াট্রিক কোভিড বিছানা রয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version