কলকাতা ব্যুরো: বেআইনি চিহ্নিত করে তড়িঘড়ি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ও বাংলো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েও সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে হলফনামা দিতে পারলেন না মুম্বাই পুরসভার সংশ্লিষ্ট অফিসার। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। হলফনামা দিতে পারেননি শিবসেনার সংসদ তথা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে ওই দুজনের আইনজীবীই হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চান। যদিও আদালত বেশি সময় তাদের দিতে নারাজ। কাল, শুক্রবার ফের শুনানি হবে ওই মামলার।
কঙ্গনা রানাউতের বাড়ি ভাঙারর ক্ষেত্রে পুরসভা যে ব্যস্ততা দেখিয়ে ছিল, তা নিয়ে আগেই কটাক্ষ করে বোম্বে হাইকোর্ট ৯ সেপ্টেম্বর। বাড়ি ভেঙে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাইকোর্ট ওই ভাঙ্গায় স্থগিতাদেশ জারি করে। কিন্তু তার আগেই বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই মামলায় কঙ্গনা রানাওয়াত ক্ষতিপূরণ বাবদ কোটি টাকা দাবি করেন।
গত শুনানিতে হাইকোর্ট ওই মামলায় যে পুর অফিসার তড়িঘড়ি বেআইনি বলে চিহ্নিত অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাকে এবং সঞ্জয় রাউতকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু এদিন সেই মামলা শুরু হলে ফের ওই দুজনের আইনজীবী সময় চান। সঞ্জয় রাউ তের আইনজীবী জানান তার মক্কেল এখন বর্ষাকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন,। তাই তার সময় দরকার। আর মুম্বাই পুরসভার তরফে জানানো হয়, আবহাওয়ার খারাপের কারণে তার ব্যস্ততার জন্য কিছুটা সময় দরকার।
যদিও আদালত জানিয়ে দে, শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণে সন্তুষ্ট হয়ে টুইট করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। যেভাবে তার বাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল, তাতে আদালত যে বিষয়টি উপলব্ধি করেছে, তার জন্য আন্তরিকভাবে টুইটারে আদালতকে অভিনন্দন জানান অভিনেত্রী।