কলকাতা ব্যুরো: দীর্ঘ ৯৫ বছর ধরে নিষ্ঠা ও জাঁকজমকতার সঙ্গে পালিত হচ্ছে গড়পাড় বারোয়ারিতলার মাতৃ মন্দিরের কালীপুজো। ১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় মন্দিরের। আর তারপর থেকেই প্রতিবছর অমাবস্যায় ভক্তিভরে আরাধনা হয় মা কালীর। বুধবার সন্ধ্যায় গড়পাড় মাতৃ মন্দিরের কালীপুজোর শুভ সূচনা হলো। ৯৬ প্রদীপ প্রজ্বলন, ফুলের আল্পনার পাশাপাশি এদিন নজর কেড়েছে বাচ্চাদের দিয়ে পুজোর সূচনা। এদিন বাচ্চারাই ফিতে কেটে পুজোর শুভ সূচনা করে।
কার্তিক মাসের ঘোর অমাবস্যায় আলোয় সাজিয়ে তোলা হয় শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র। ধূমধামের সঙ্গে পালিত হয় কালীপুজো ও দীপাবলি। এই কার্তিকী অমাবস্যায় আলোকসজ্জা ও আতসবাজির শব্দের মধ্যেই সারা রাত ধরে সম্পন্ন হয় কালীপুজো। আবার এদিন সন্ধে বেলা পূজিত হন লক্ষ্মী।
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষ শেষ হয় এবং সূচনা হয় দেবীপক্ষের। মহালয়ার দিনে পিতৃপুরুষদের তর্পণ করার প্রথা প্রচলিত আছে। পিতৃপক্ষের সময় বিদেহী আত্মারা জল গ্রহণের জন্য মর্ত্যে আসেন। তার পর থেকে দীপাবলি পর্যন্ত তাঁরা মর্ত্যেই বিচরণ করেন। দীপাবলির সময় পিতৃলোকে ফিরে যান তাঁরা। কিন্তু যেদিন তাঁরা ফিরে যান সেই দিনটি আসলে অমাবস্যা। এই অন্ধকারে পিতৃপুরুষদের যাতে ফিরে যেতে সমস্যা না-হয়, তাই তাঁদের উদ্দেশে অন্ধকার পথ আলোকিত করে রাখা হয়। তাই ঘরে ঘরে জ্বালানো হয় প্রদীপ।
এ ভাবে কালীপুজোর সঙ্গে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা জড়িয়ে পড়েছে। তবে দীপান্বিতা অমাবস্যার সময় কেন কালীপুজো করা হয়, তারও ইতিহাস রয়েছে।