এক নজরে

KMC Election Result: ‘দিদি’র দেখানো পথেই কাজ করতে চান কাজরী

By admin

December 21, 2021

কলকাতা ব্যুরো: প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় কারণ, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ ৷ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকানা থেকে বিদায়ী কাউন্সিলরের জায়গায় দলের টিকিট পাওয়া, কাজরীকে নিয়ে বিতর্ক করার উপাদানে কোনও ঘাটতিও ছিল না ৷ যদিও কাজরী নিজে প্রথম থেকেই এসব সমালোচনাকে পাত্তা দেননি বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামা কাজরী। শেষমেশ তাঁর সেই আত্মবিশ্বাসই সত্যি প্রমাণ হলো। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কাজরী। জয় নিয়ে তিনি যে আপ্লুত, তা যেমন লুকিয়ে রাখেননি পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচকদের নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করতে চান না ৷ তাঁর লক্ষ্য উন্নয়ন ৷ ‘দিদি’র দেখানো পথেই কাজ করতে চান কাজরী।

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছেন, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুধুমাত্র ভোটে জিতেছেন, তা নয়। বিরোধীদের সব সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন তিনি। এদিন বিজয়ী ঘোষিত হওয়ার পর কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কাজরী বলেন, সেই মনোনয়নের দিন থেকেই তো সমালোচনা হচ্ছে ৷ তবে মানুষ সব কিছুর জবাব দিয়েছেন। এসব আর মনে রাখতে চাই না বরং মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এলাকার মানুষের যা যা চাহিদা রয়েছে, তা যাতে সঠিকভাবে পূরণ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাই।

মঙ্গলবার ছিল কলকাতা পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন ৷ এদিন সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যমের ফোকাসে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অন্যতম কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় কারণ, প্রার্থী হিসাবে কাজরী তাঁর মনোনয়ন পেশ করার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কোটিপতি ভ্রাতৃবধূকে বিঁধতে কোমর বেঁধে মাঠে নামে বিরোধীরা ৷ সেই সময় কাজরী ও তাঁর স্বামী দু’জনেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই অর্থের উৎস বৈধ ৷ উপার্জনের বিনিময়ে তাঁরা যে নিয়ম মাফিক আয়কর দেন, তাও উল্লেখ করেন এই দম্পতি ৷ তারপরও অবশ্য সমালোচনা বন্ধ হয়নি ৷ ইতিমধ্যেই নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী পরিচয় দিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার নিজের সম্পত্তি দেখানো কাজরীর টাকার হিসেব চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। আর মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে কাজরী বলেন, আমার হয়ে সমস্ত জবাব মানুষই দিয়ে দিয়েছে ৷ আমি এতেই খুশি ৷

উল্লেখ্য, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার থেকে কাজরী হলেন তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার ভোটে জিতেছিলেন এই বাড়ির মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ঠিক ৩০ বছর পর ২০১৪ সালে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হন তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার কাউন্সিলর হলেন কাজরী।