মৈনাক শর্মা
কলকাতা ব্যুরো: এক দিনে ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালন ও অন্য দিকে কাবুল দখল তালিবানিদের। সরকারি ক্ষমতা ছাড়লো আশরাফ ঘানি। সমস্ত জরুরী তথ্য কে নষ্ট করে কাবুল থেকে জরুরী অবস্থায় ফিরছে মার্কিন কূটনীতিবিদ রা ২০০২ সালের পর অবশেষে সেই তালিবানি রাজত্বে আফগানিস্থান। যার পড়েই বাইডেনের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ মার্কিন মিডিয়া। তার সঙ্গেই প্রশ্ন থাকছে জলদি বেড়ে ওঠা তালিবানি শক্তির নেপথ্য কাহিনী নিয়ে।
কাতারের মাধ্যমে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনার পর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সদ্যপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পালিয়ে গিয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি। যদিও প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে তার নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনই ঘানির অবস্থান কোথায় তা জানানো হচ্ছে না বলে খবর। তবে তালিবানরা কাবুল দখলের পর সেখানকার নাগরিকদের সঙ্গেই মহিলাদের ওপর কি রকম অত্যাচার নেমে আসবে তা নিয়ে এখন সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। যদিও আমেরিকা বা অন্যান্য দেশ এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
বেশ কিছুদিন ধরেই গোটা দেশে দ্রুত অভিযান চালিয়ে জালালাবাদ , ঘাজনি , কান্দাহার দখল করে তালিবান। আনুমানিক সময়ের আগেই কাবুল দখল নিয়ে মার্কিন নীতি কেই দায় করে বিশ্লেষকরা। তালিবানের দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে মার্কিন সেনবাহিনীর ফেলে আসা বাহন ও অস্ত্র দাবি বিদেশি মিডিয়ার। তার পরই দখলে আসে বাহরাম এয়ার বেস।
দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে আফগান দখলে নেপথ্যে সাহায্য রয়েছে রাশিয়ার । ২০১৯ সালেই তালিবানি কর্তাদের সঙ্গে কথা হয় রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রীর। অন্যদিকে কাবুলে তাকিবানি সরকার কে সিকৃতি দিতে মরিয়া বেজিং। আফগনিস্তানে নিজের দাপট বরাতে আর্থিক বিনিয়োগ করতেও রাজি চিন। স্বার্থ ভবিষ্যতে পাক চিনা অর্থনৈতিক করিডোরের মানচিত্রে জুড়তে পারে আফগানিস্থান।
তবে আফগান দখল নিয়ে দিল্লির নীরবতা থাকলেও ভবিষ্যতে চিন্তা থাকবে ভারতের। কারণ কাবুল তালিবানি শক্তির হতে পড়তেই একাধিক আলকায়েদা গোষ্ঠির জঙ্গী সেনা কে বাঁধন ছাড়া করার প্রতিজ্ঞা করে তালিবান। যা কাশ্মিরে উগ্রপন্থা অভিযান নিয়ে বেশ চিন্তায় ফেলতে পারে ভারতের সুরক্ষা বিভাগকে।
বিশ্লেষকদের ধারণা তালিবানের কাবুল জয় উৎসাহ দেবে ইসলামাবাদ থেকে পাক সরকারকে সড়িয়ে পাকিস্থান ও আফগান সীমা কে একত্রে করার অভিযানেও। অর্থাৎ আপাতত নিজের স্বার্থ এড়িয়ে চললেও বেড়ে ওঠা তালিবানি শক্তি ভবিষ্যতে যে চিন ও পাক সরকারের পথের কাটা হবে কি না তা প্রশ্ন থাকছে বিশ্ব মহলে।