এক নজরে

#JhaldaMurder: ঝালদা কাণ্ডে অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূল কর্মী অমল কান্দুর

By admin

April 05, 2022

কলকাতা ব্যুরো: পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যা মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার আদালতের নির্দেশ পেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তদন্তে নামার আগেই ফের ভাইরাল একটি অডিও। যাতে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছেন জনৈক তৃণমূল কর্মী। রীতিমত হুমকির সুরে কথা বলছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল কর্মীর নাম অমল কান্দু। তাঁদের কথোপকথন ফাঁস হওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে গেল নিঃসন্দেহে। অবশ্য অডিওর কণ্ঠস্বরটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন তৃণমূল কর্মী অমল কান্দু।

তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে ঝালদায় পা রাখার আগেই আরও একটি অডিও ভাইরাল হয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। কংগ্রেস কাউন্সিলর নিহত তপন কান্দুর সঙ্গে অমল কান্দু নামে এক তৃণমূল কর্মীর অডিও ভাইরাল হয় মঙ্গলবার। অডিওতে শোনা যাচ্ছে, ওই তৃণমূল কর্মী নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে বলছেন, তোমাকে তৃণমূলে আসতেই হবে। অশ্রাব্য গালিগালাজও দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও চাপের মুখেই নত হতে নারাজ তপন কান্দু। তিনি বারবার ওই প্রস্তাব ফেরাচ্ছেন। বারবার বলছেন, তাঁকে ফোন না করতে। অডিও ক্লিপটিতে সমস্ত বিষয়টি স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, এটি ভোট পরবর্তী সময়ের কথোপকথন।

তপন কান্দু-অমল কান্দুর কথোপকথনে বিজয় কান্দু বলে একজনের নাম শোনা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি ঝালদা পুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর। তাঁকেও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের দিনকয়েক পর একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। যাতে ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষের সঙ্গে তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুনের কথোপকথন হয়েছিল। সেই অডিও অনুযায়ী, কাকাকে তৃণমূলে যোগ দিতে ভাইপোর মাধ্যমে বারবার বার্তা পাঠানো হচ্ছিল। তবে সিটের তদন্ত অনুযায়ী, আইসি-র কোনও যোগ নেই এতে। তাই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও আপাতত স্বস্তিতে আইসি।

নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরকে ফোন করার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল কর্মী অমল কান্দু। তিনি বলেন, আমাদের তৃণমূল কর্মীরা সন্দেহ করছিলেন, আমি নাকি টাকা নিয়ে তপনদার হয়ে ভোটে কাজ করেছি। কিন্তু আমি যে সেটা করিনি, এই বিষয়টি আমি ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের বোঝাতে তাঁদের সামনে থেকে তপনদার সঙ্গে ফোনে কথা বলে দলীয় কর্মীদের শুনিয়ে দিয়েছিলাম। সেই সময় আমি তপনদাকে বলেছিলাম, তোমাকেও তৃণমূলে আসতে হবে। এর বাইরে আর কিছু নয়।

তপন কান্দু খুনে তাঁর দাদা নরেন কান্দু ও মহম্মদ আসিফ খান ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া নরেন্দ কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু ও কলেবর সিংকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সোমবারই এই খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷