কলকাতা ব্যুরো: সুস্মিতা দেব, লুইজিনহো ফেলেইরো পরে ফের একবার সম্ভবত কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে আরেক বড় নেতাকে দলে নিতে চলেছে তৃণমূল। বর্তমানে দিল্লি সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল্পনা চলছে, এদিনই কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন। এখনও যোগদানের বিষয় সম্পর্কে তৃণমূলের তরফ থেকে অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি। তবে কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দিলে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে ফের একবার তৃণমূল ধাক্কা দিতে চলেছে, বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের। জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
তবে সোমবার দুপুরেই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে যান জাভেদ আখতার ও প্রাক্তন বিজেপি নেতা সুধীন্দ্র কুলকার্নি। তাঁদের ওই সাক্ষাতের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পাশাপাশি এদিন দুপুরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরে এর আগেও একবার দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরোধী দলগুলির নেতা নেত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজটা তখনই শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। ত্রিপুরা, গোয়াতে একাধিক কংগ্রেস নেতা ভাঙিয়েছে তৃণমূল। দুই বড় নাম সুস্মিতা দেব, লুইজিনহো ফেলেইরো কংগ্রেস ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ইতিমধ্যে দুজনকেই বাংলা থেকে রাজ্যসভাতে পাঠিয়েছে তৃণমূল। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের লক্ষ্য বাকি রাজ্যগুলিতে সংগঠনের বাড়ানো। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পাখির চোখ করা হয়েছে ত্রিপুরা ও গোয়াতে।
ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় সংঘর্ষের আঁচ গিয়ে পৌঁছেছে দিল্লিতেও। সেই ঘিরেও উত্তপ্ত রয়েছে রাজধানীর রাজনীতি। এই আবহে এদিন খুব সম্ভবত কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে এখনও তৃণমূলের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।