কলকাতা ব্যুরো: পর্যটকদের অবাধে ঘুরে বেড়ানোয় পুরোপুরি ছাড় পত্র দেওয়ায় প্রবল সমালোচনা পর এবার পর্যটকদের উপরে বিধি নিষেধ কঠোর করল হিমাচল প্রদেশ সরকার। এখন থেকে মাস্ক না পড়লে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে পুলিশকে। একইসঙ্গে নদীকে পিছনে রেখে পাড়ে দাড়িয়ে সেলফি তুলতে গেলেও পুলিশের নজরে পড়লে দিতে হবে আর্থিক দন্ড। একইসঙ্গে জেলের রাস্তাও খোলা রেখেছে সরকার। হিমাচল প্রদেশ ঘুরতে গিয়ে যথেচ্ছ মাস্ক না পড়া, দূরত্ব বজায় না রাখায় যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তারপরেই এব্যাপারে নড়েচড়ে বসল হিমাচল সরকার। রবিবার থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নির্দেশ আপাতত বলবৎ থাকবে।
কয়েকদিন আগেই মানালিতে ম্যালে কাতারে কাতারে পর্যটক এর দূরত্ব বিধি না মানা, মুখে মাস্ক বিহীন ছবি উঠে এসেছিল সামাজিক মাধ্যমে। ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের ক্যাম্পটি ফলসের ভিড়ের ছবি দেখার পর একই রকম সমালোচনার ঝড় ওঠে। পর্যটকরা বেড়াতে গিয়ে বিধি না মানায় যেকোনো সময় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক করছিল কেন্দ্র। সেই তালিকায় দার্জিলিং এর জন্য যেমন পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে, তেমনি হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখান্ড, মহারাষ্ট্র সরকারকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারপরেই হিমাচল প্রদেশ সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিল।
কি নির্দেশ সরকারের? হিমাচল প্রদেশ সরকার শনিবার নির্দেশ জারি করেছে। যা বলবৎ থাকবে ৩১আগস্ট, ২০২১ অবধি। যদি তার মধ্যেও পর্যটক বা হিমাচলিরা নিয়ম না পালন করেন, তাহলে সময় সীমা আরো বাড়াতে পারে। যাঁরা হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে যাবেন কেউ এই নিয়ম ভাঙলে বিপদে পড়তে পারেন।
প্রথমত, পর্যটক বা হিমাচলি কেউ যদি বিনা মাস্কে ধরা পড়েন বা কোভিড প্রোটোকল না মানেন, তাহলে তাঁদেরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা চার দিন জেল হতে পারে। বা দুটোই হতে পারে। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি বা ফটো তোলাতেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।
সিমলা, ধর্মশালা, কাঙরা, ডালহৌসি, মানালি, অটল ট্যানেল এই সব জায়গায় পর্যটকদের চাপ অনেক বেশি তাই এই সব জায়গাতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, তাঁরাই এই সব জায়গায় কোভিড নিয়ম সবাই মানছে কিনা সেটা দেখবে ও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আর এই সেনাবাহিনী সেই এলাকার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে।
ফলে যারা ঘটনার আবহে দীর্ঘদিন ঘরে আটকে থাকার পর বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন তারা অন্তত বিধি মেনে চলবেন না হলে বিদেশ বিভূঁইয়ে গিয়ে মাস না পড়ায় জেল বা জরিমানা দিতে হলে তা খুব একটা সুখকর হবে না।