এক নজরে

#JagdeepDhankhar : জিটিএ-র শপথগ্রহণে দুর্নীতি ও অনুন্নয়ন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপালের

By admin

July 14, 2022

কলকাতা ব্যুরো: জিটিএ-এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই দুর্নীতি ও অনুন্নয়ন নিয়ে শেষবারের মতো চরম হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের ভানুভবনে জিটিএ-এর নব নির্বাচিত মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, সহকারি কার্যনির্বাহী আধিকারিক ও চেয়ারম্যান পদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। আর সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই জিটিএ নিয়ে বিগত দিনের একাধিক অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতি, অনুন্নয়ন ও অডিট নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল।

শুধু তাই নয়, অডিট না হলে আর্থিক দুর্নীতিতে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। পাশাপাশি কোনওভাবেই যাতে তার ক্ষমতা ও সহ্যের সীমা লঙ্ঘন না করা হয়, তাও সাফ জানিয়েদেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের মাঝেই ফের একবার রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিকমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

তবে শপথ গ্রহণের দিনই জিটিএ যাতে স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করা হয়, প্রতি বছর যেন অডিট করা হয় এবং নতুন বোর্ড যাতে পাহাড়ের রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা-সহ সমস্ত সমস্যার সমাধান করে পর্যটনের দিক দিয়ে পাহাড়কে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরে, সেই বার্তা দেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নই প্রধান। এই জিটিএ নির্বাচনটি তৃতীয় হওয়া উচিত ছিল, দুর্ভাগ্যবশত এটি দ্বিতীয়বার হল। যখন প্রথম নির্বাচন হয়েছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং পাহাড়ে উপস্থিত ছিলেন। এটা খুব ভালো বিষয়। আমি শুভেচ্ছা জানাই নির্বাচিতদের।
এরপরই তিনি নানা অভিযোগ নিয়ে সরব হন। ধনকড় বলেন, আমি তিন বছরে দেখেছি উন্নয়নে অনেক খামতি রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে যেসব সমস্যা আমার কাছে উঠে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রধান পানীয় জলের সংকট, বেহাল রাস্তা, জিটিএ-র চুক্তি লঙ্ঘন করা, আর্থিক তছরুপ, হিসেবে গোলমাল, অস্বচ্ছতা। একবারের জন্যও অডিট হয়নি, যেটা প্রতি বছর হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে, এবার যাতে সেগুলি কোনোভাবেই না হয়। প্রত্যেকে নিজের প্রতিজ্ঞা রাখবেন। আর নিজের রাজ্যপালকে ভরসা করুন।
পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, হাজার কোটি টাকার হিসেব, দুর্নীতি ও আর্থিক গরমিলের কিনারা করা হবে। প্রতি বছর অডিট করতে হবে। যারা যারা আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতি করেছে, তাদের প্রকাশ্যে আনা হবে। আপনারা আমার পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। একজন রাজ্যপাল কী করতে পারেন, তাঁর সহ্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমি বারবার প্রত্যেক প্রশাসককে বলেছি, তাঁরা যাতে তাঁদের দায়িত্ব সঠিকমতো পালন করেন। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকে বিফল হয়েছেন। একজনকেও ছাড়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিবার অভিযোগ, তথ্য ও প্রমাণ পেয়েছি। জিটিএ দুর্নীতি, পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপোষন, আইনলঙ্ঘনের আখড়া হয়ে উঠেছিল। আর প্রশাসন নীরব ছিলো। এগুলো কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আমার কোনও কথা যেন হালকাভাবে না নেওয়া হয়। যদি শপথ নিয়েছেন তা মেনে চলুন। না হলে এবার আগের থেকেও কড়া ও দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।