কলকাতা ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বুধবার রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আলোচনার পর এই বৈঠক নিয়েও ট্যুইট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, দেড় ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং মহিলাদের উপর বেড়ে চলা আক্রমণ নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানে তিনি বার্তা দিয়েছেন, সাংবিধানিক কর্তব্য পালন অবশ্যিক বিষয়, কোনও ঐচ্ছিক বিষয় নয়।
তবে শুধু রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকে খুশি নন রাজ্যপাল ধনকড়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছেন রাজ্যপাল। আজই তিনি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চান। এই নিয়ে তিনি তাঁকে চিঠিও পাঠান। আর এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
চিঠির বয়ান অনুযায়ী রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। নিজের উদ্বেগের কথা ওই চিঠিতে প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশেষ করে এদিন দিনভর সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় হওয়া আইনজীবী বনাম বিচারকের সংঘাতের যে চিত্র ধরা পড়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। আদালতের চৌহদ্দিতে চলা ঘটনাক্রম নিয়েও আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডেকে পাঠান তিনি। রাজ্যপাল লিখেছেন, আপনি নিশ্চয় স্বীকার করবেন যে আদালতের কাজে বাধা দেওয়া ও সাধারণ মানুষকে ন্যায়বিচার পাওয়াতে বাধা দেওয়া গণতন্ত্রের পক্ষ খুবই বিপজ্জনক। এই অবস্থায় আমাদের কথা হওয়া প্রয়োজন।
একে এক ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। হাঁসখালিকাণ্ডে যখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, তখন মাটিয়া- ইংরেজবাজার-দেগঙ্গা ও বাঁশদ্রোণীতে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে দময়ন্তী সেনকে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে তলব করেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে রাজভবনে যান দু’জনেই। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক হয় রাজ্যপালের।