এক নজরে

Ajit Pawar: বাজেয়াপ্ত মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ১,০০০ কোটির সম্পত্তি

By admin

November 02, 2021

কলকাতা ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ১,০০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো আয়কর দফতর। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আয়কর দফতরের তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং গোয়ায় পাওয়ারের যোগ থাকা একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছে মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টের নির্মল টাওয়ার।

পাশাপাশি একটি সমবায় চিনি কারখানাও বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত মাসে অভিযানের সময় যে ১৮৪ কোটি টাকার মতো হিসাব-বহির্ভূত আয়ের হদিশ মিলেছিল, তার জেরেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

গত মাসে পাওয়ারের বোনেদের বাড়ি এবং সংস্থায় অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সেই সময় ৬২ বছরের এনসিপি নেতা বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতি বছর কর দিই। যেহেতু আমি নিজেই অর্থমন্ত্রী, তাই আমি আর্থিক নিয়মের বিষয়ে জানি। আমার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত সংস্থার কর দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি হতাশ, কারণ আমার বোনেদের (জায়গায়) তল্লাশি চলেছে। যাঁরা ৩৫-৪০ বছর আগে বিয়ে করেছেন। যদি পাওয়ারের আত্মীয় হওয়ার জন্য তাঁদের (জায়গায়) বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়, তাহলে মানুষের অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। যেভাবে এজেন্সিগুলিকে (অপ)ব্যবহার করা হচ্ছে…।’

তারইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার মুম্বই এবং পুণেতে পাওয়ার খুড়তুতো ভাই জগদীশ কদমের বাসভবনে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যিনি একটি চিনি কারখানার অধিকর্তাও। যেখানে আগেই অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এএনআই জানায়, মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কের সম্পর্কিত বিষয়ে অভিযান চালানো হয়েছে।

অন্যদিকে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। টানা ১২ ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসঙ্গত, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় গত বছরই সরকার থেকে সরে দাঁড়ান দেশমুখ। গত সপ্তাহে ইডির সমন থেকে বাঁচার চেষ্টা করেও পারেননি। শুক্রবার সমন এড়ানোর আবেদন নাকচ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। সোমবার এনসিপির এই নেতাকে দফতরে তলব করে ইডি। তারপরেই ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার করা হয়। এদিনই এক ভিডিয়ো বিবৃতিতে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে।

উল্লেখ্য, অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও, তোলাবাজিরও অভিযোগ তুলেছিলেন মুম্বইয়ের শীর্ষ পুলিস কর্তা পরমবীর সিং। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে পরমবীর অভিযোগ করেন, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলেন অনিল। মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে জিলেটিন স্টিক পাওয়ার পর মুম্বই পুলিসের শীর্ষ ওই কর্তাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠি লেখেন তিনি।