কলকাতা ব্যুরো: ইজরায়েল অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকে ইজরায়েলি সেনার গুলিতে মৃত্যু হল আল জাজিরার এক বর্ষীয়ান মহিলা সাংবাদিকের। তাঁর নাম শিরিন আবু আকলে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। এছাড়াও ওই হামলায় আরেক সাংবাদিক আলি আল-সামুদি গুরুতর আহত হয়েছেন খবর। যদিও ইজরায়েলের সেনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সাংবাদিকের। অন্যদিকে আহত সাংবাদিকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইতিমধ্যেই কাতারের উপ বিদেশমন্ত্রী লোলওয়া আল খাতের এএফপির কাছে দাবি করেছেন, শিরিনের পরনে ছিল প্রেস ভেস্ট। মাথায় ছিল হেলমেট। তা সত্ত্বেও সেনাবাহিনী ওই সংবাদিকের মুখে গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, ”এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।”

এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের সেনার তরফে হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ওয়েস্ট ব্যাংকের জেনিন শহরের শরণার্থী শিবিরে গুলি চালিয়েছে বলে জানাচ্ছে তারা। তবে সেই সঙ্গে কোনও সাংবাদিককে লক্ষ্য করে কোনও গুলি চালানো হয়নি বলেই দাবি তাদের। ইজরায়েলের এক সেনা আধিকারিকের দাবি, ”কোনও সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলি চালাইনি আমরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা এবিষয়ে যৌথ তদন্ত চালাতে চাই।”

এদিকে ওই সাংবাদিকের মৃত্যুর পরে আল জাজিরার তরফে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হোক ইজরায়েলি সেনাকে। তাদের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইজরায়েলের সেনা ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে আল জাজিরার করেসপন্ডেন্টকে।

আল জাজিরার এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ২০০০ সাল থেকে আল জাজিরায় কর্মরত ছিলেন শিরিন। তাঁকে সকলেই খুব সম্মান করতেন। জেনিন শহরে গিয়ে তিনি সেখানে ইজরায়েলি সেনার অভিযান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। আচমকাই তাঁকে এভাবে গুলি করে হত্যা করার তীব্র নিন্দা করেন ওই সাংবাদিক।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version