%%sitename%%

এক নজরে

Boycott India: ভারত বয়কটের দিকে তুর্কি ও কাতার

By admin

October 03, 2021

মৈনাক শর্মা

বিগত কয়েক দিনে বয়কট শব্দের প্রচলন হয়েছে। বিশেষ করে মধ্য এশীয় দেশগুলিতে। সম্প্রতি বয়কট ডাক ওঠে ফ্রেঞ্চ জিনিসের উপর। তা থামতে না থামতেই এইবার মুসলিম বিদ্বেষের জন্য ভারত বয়কটের ডাক ওঠে মধ্য এশিয়া দেশগুলিতে। সম্প্রতি আসামের ধলপুর এলাকায় দখল করা জমি খালি করা অভিযানের রণক্ষেত্র গুলিবিদ্ধ মৃত্যুকে মুসলীম অত্যাচারের দৃষ্টিকোণ দিয়ে দিল্লির সমালোচনা করে কাতার, তুর্কি। 

তার জেরেই ভারতের দ্রব্য বয়কটের ডাক দেয়। তবে নিজের সংসদে ভারতের নিন্দা করলেও এখনই ভারত বয়কট করেনি কুয়েত। তুর্কি সংবামাধ্যমগুলোতে একাধিক বার ভারত বিরুদ্ধ ভাব প্রকাশ করে। টুইটারে সহ সোশাল মিডিয়ায় সর্বত্রে শুরু হয় ভারত বয়কট ক্যাম্পিং। তবে এ কোনো নতুন অধ্যায় নয়। এর আগেও দিল্লির বিরূদ্ধে উসকানিমূলক প্রচার করে পাক মদতে তুর্কি। তবে এইবার সঙ্গে রয়েছে পাক মদতে নেক্সাস ও মুসলিম ব্রাদারহুড গোষ্ঠী। লক্ষ ভারতকে সামনে রেখে সৌদি আরবকে মুসলিম দেশের নেতৃত্বের প্রধান হওয়াকে আটকানো।

বয়কটে কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সাথে মধ্য এশিয়া দেশগুলি রপ্তানি থেকে বেশি হয় আমদানি। বিশেষ করে কাঁচা তেল। কিন্তু সেক্ষেত্রেও ভারতের প্রধান সঙ্গী সৌদী আরব ও ইরান। অন্যদিকে একাধিক ভারতীয়র কাজের ঠিকানা মধ্য এশিয়া দেশগুলি। ২০১৮ সালের বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য মতে এইউএই থেকে ১৩ মিলিয়ন, সৌদি থেকে ১১ মিলিয়ন, কুয়েত থেকে ৪ মিলিয়ন কাতার থেকে ৪.১৪৪ মিলিয়ন ও ওমান থেকে ৩,২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রোজগার হয় ভারতীয়দের।

এছাডাও ২০২০ সালে ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য হয় ভারত ও কতারের অর্থাৎ কাতার ও তুর্কি ভারত বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেও, ভারত নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি সৌদি ও অন্যান্য দেশ অর্থাৎ রোজগারে দিকে আংশিক ক্ষতি হতে পারে ভারতের। টুল কিড ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে সম্প্রতি মিথ্যা মুসলিম বিদ্বেষ ও ভারত বয়কট বিশ্ব মহলে একাধিক বার দিল্লী বিরুদ্ধ ভাব প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে কাশ্মীর থেকে শুরু করে সর্বত্রই বিশ্ব মঞ্চে নিজের মতামত তুলে ধরতে সরকারি ভেবেই দরকার নিজের তৈরী সংবাদমাধ্যমের।