কলকাতা ব্যুরো: ফের বাঘের হানায় প্রাণ গেল এক মৎস্যজীবীর। মৃতের নাম পুঞ্চু মুন্ডা, বয়স ৫৭ বছর। কুলতলি মৈপীঠ কোস্টাল থানার নাগেনাবাদ এলাকার বাসিন্দা পুঞ্চু মুন্ডা শনিবার স্ত্রী ও আরও দু’জনকে নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান। নদীর চরে নৌকা ভিড়িয়ে কাঁকড়া ধরার পরিকল্পনা করছিলেন সঙ্গীদের সঙ্গে। সেই সময় হঠাৎ দক্ষিণরায় ঝাঁপিয়ে পড়ে পুঞ্চু মুন্ডাকে টেনে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্ত্রী ও দুই সঙ্গী চিৎকার চেঁচামেচি করলে বাঘটি দেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ঘাড়ে বাঘের কামড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই মৎস্যজীবী। দেহই জঙ্গলের ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসেন সঙ্গীরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের আজমলমারির জঙ্গলে কাঁকড়া সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ৪ মৎস্যজীবী কিন্তু সরকারিভাবে সেখানে মাছ কিংবা কাঁকড়া ধরার কোনও অনুমতি ছিল না ৷ তাই কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না মৃত মৎস্যজীবী পুঞ্চু মুন্ডার পরিবার।
পরিবারের মূল রোজগেরে মানুষটিকে হারিয়ে শোকের ছায়া মুন্ডা পরিবারে। চোখের সামনে বাঘের কামড়ে স্বামীর মৃত্যু দেখে শোকস্তব্ধ নিহত মৎস্যজীবীর স্ত্রী।