বর্তমানে পাকিস্তান আইল্যান্ড অথরিটি অধ্যাদেশে সাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভী যার ফলে সর্বত্র পাকিস্তানে প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সিন্ধ প্রান্তের সরকারকে নিষ্ক্রিয় করে সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা পুলিশ বিচারবিভাগ ও সায়ত্ব শাসন ব্যবস্থা ইসলামাবাদের হাতে চলে আসে । হঠাৎ করে আসা এই অধ্যাদেশকে ইমরান খান সরকারের বিরোধী দমনের চেষ্টা বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা কারণ সিন্ধ রাজ্যে রয়েছে পাকিস্তান জনতা পার্টির সরকার .. জনতা পার্টির প্রমুখ বিলাওয়াল ভুট্টো এই আইনকে দিল্লির কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিষ্ক্রিয় করার সাথে তুলনা করে এর সমালোচনা করেন।
এই অধ্যাদেশের কারণে সিন্ধুবাসীরা মনে করছেন, ইমরান খান সরকার তাদের জমি দখল করছে. কারণ অধ্যাদেশর অনুচ্ছেদ ৪৫ র সাব সেকশন ১ এ বলা হয় যে কেন্দ্র সরকার ওই প্রান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের উচ্ছেদ করতে সক্ষম হবে ।তাছাড়া এই অধ্যাদেশর অনুচ্ছেদ ৪৭ দ্বারা কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ভুখণ্ডের কোনো অংশকে বিক্রি অথবা ভাড়ার মাধ্যমে খাজনা আদায় করতে সক্ষম হবে. বিশ্ব মহলে অনুমানকরা হয় এই আইনের জোরে পাকিস্তান সিন্ধ রাজ্যের করাচী শহরের নিকটবর্তী দুটি দ্বীপ বুন্দেল ও ভুদ্য চীন কে বিচতে বা বেশি শুল্কের জন্য লীজ দিতে চাইবে কারণ এই লেনদেনের ফলে আয় করা অর্থের বিনিময়ে দেনা সোধে সক্ষম হবে ইরফান খান সরকার ।

বুন্দেল ও ভুদ্য দ্বীপের উন্নতির জন্য এই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে বলে দাবি করে ইমরান খান সরকার তাছাড়া ওই অঞ্চলকে বাণিজ্যিক অঞ্চলে পরিণতের জন্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে দাবি করে সিন্ধ রাজ্যের রাজ্যপাল ইমরান ইসমাইল. কিন্তু সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যর্থ ও কোনঠাসা পাকিস্তানে বর্তমানে বিনিয়োগে সম্মত নন কোনো দেশের শিল্পতিগণ এক্ষত্রে ইসলামাবাদের একমাত্র সম্বল সেই চিন।
পাকিস্তানের জারি করা অধ্যাদেশ ভারতের দৃষ্টিতে ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তার কারণ বলে মানছেন অনেকেই . ইতিমধ্যেই পাক সরকার গিলগিট ও বাতিস্তানকে রাজ্যে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন ও পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেই এলাকাতে নির্বাচনের সম্মতিও দেয় ।পাকিস্তান আইল্যান্ড অথরিটি( PIDA ) অধ্যাদেশর অনুচ্ছেদ ৪৭ র ফলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চল প্রান্তে পরিণত হলে সহজে চলে আস্তে পারে চীনের হাতে . এর আগেও ১৯৬৩ সালের চিন -পাকিস্তান এগ্রিমেন্টের ফলে শ্যাকসগাম ( সিয়াচেন হিমবাহহের নিকট অবস্থিত ) উপত্যকা চীনকে উপহার দেয় পাকিস্তান সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের উপর চিনের প্রভাব ভৌগোলিক ভাবে দুশ্চিন্তার কারণ হবে দিল্লির. এই আইন দিল্লির দুশ্চিন্তার বাড়ানোর কৌশল কিনা তা এক জটিল প্রশ্ন তবে এই দুশ্চিন্তার ও নিজের ভূভাগ কে সুনিশ্চিত ও চীনকে দমনের জন্য কোয়ার্ড ই হলো ভারতের একমাত্র সমাধান বলে মত বিশ্লেষকদের।