এক নজরে

আলোচনার পরেও চড়ছে চিন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনার পারদ

By admin

September 02, 2020

কলকাতা ব্যুরো: সেনাবাহিনী স্তরে উত্তেজনা প্রশমনের আলোচনা চলছে। তারই মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। ২৯ এবং ৩০ আগস্ট পূর্ব লাদাখ সীমান্তের পাংগং হ্রদের দক্ষিণ প্রান্তে চিনের সেনার ( পিএলএ) আগ্রাসী পদক্ষেপ ভারতীয় সেনাবাহিনী রুখে দিলেও,গতকাল ফের পিএলএ আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া লঙ্ঘণ করছে বলে অভিযোগ ভারতীয় সেনার।

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত এবং চিন দুই দেশের মধ্যেই কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে যে বোঝাপড়ায় পৌছানো হয়েছিল তা চিন মানছে না। মানছে না লাইন অফ একটুয়াল কন্ট্রোলও। বারেবারেই আগ্রাসী পদক্ষেপ করছে চিনা সেনা। এই পরিস্থিতিতে চিনের বর্ডার ট্রুপকে সংযত করতে চিনা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত। চিনের বিরুদ্ধে ভারত যে অভিযোগ করেছে, একই অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে করছে চিনও।

চীনের তরফে বলা হয়েছে, বোঝাপড়ার বাইরে গিয়ে অনুপ্রবেশ করছে ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার ফরোয়ার্ড ট্রুপকে সংযত করতে ভারতের কাছে আবেদন জানিয়েছে চিন ও।

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ অগস্টের পর আজও চলছে দুই দেশের ব্রিগেড কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক। লক্ষ্য, আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত করা। ওই বৈঠকে বিষয়গুলি তোলা হবে। এরই মধ্যে আজ তিন দিনের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে সাংহাই কো অপেরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সূত্রের খবর,যদিও সেখানে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে কোনো বৈঠক হবে না রাজনাথের। যদিও ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরে রেখেছেন রাজনাথ সিং।

গত সপ্তাহেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আকসাই চিন নিয়ে ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের পর এবারই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হলো। যদিও গত তিন মাসে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে নিরন্তর আলোচণার মাধ্যমে সমস্যাগুলি নিয়ে বোঝাপড়ার উদ্যোগ চলছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন চিনা সেনার মৃত্যূ হয়। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা। এরইমধ্যে ভারতকে সীমানা থেকে সেনা প্রত্যাহারের কার্যত হুমকি দিয়েছে চিন। ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওযাত ও বলেছেন,আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পথ খোলাই আছে। চিনা তরফে পাল্টা হুমকি, সেক্ষেত্রে ১৯৬২-র থেকেও কড়া মূল্য চোকাতে হবে ভারতকে।