কলকাতা ব্যুরো: এবার দূরপাল্লার ট্রেনের শৌচালয়গুলির উপর নজর রাখবে রেল। শুনতে অস্বস্তি হলেও রেল এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। নজরদারির প্রথম ধাপে রেল বোর্ড খেয়াল রাখবে, যাত্রীরা কেউ শৌচালয়ের কমোডে চায়ের কাপ, খাবারের প্যাকেট, খবরের কাগজ, ন্যাপকিন, পলি ব্যাগ ইত্যাদি আবর্জনা ফেলছেন কি না। প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর্যায়ে থাকবে, এমন কাজ করতে বারণ করা হবে। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে এই কাজের জন্য জরিমানা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
রেল বোর্ডের এই সতর্কতাকে মান্যতা দিয়ে ট্রেনের শৌচালয়ের বাইরে ও ভিতরে সতর্কীকরণ পোস্টার লাগানো হবে। অডিও ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। এছাড়াও ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা যাত্রীদের উপর নজর রাখবেন। শৌচালয়ে যাওয়ার সময় কেউ এই ধরনের সামগ্রী নিয়ে ঢুকছেন কি না তা দেখে নিয়ে তাঁদের প্রয়োজনে নিষেধ করা হবে। না শুনলে জরিমানার পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের।
রেলের স্বচ্ছতা ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক কর্তার কথায়, এখন ট্রেনে সবই বায়ো টয়লেট। অতএব, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথা যাত্রীদেরই। কারণ এটি তাঁরাই ব্যবহার করে থাকেন। অথচ কিছু ঘটনা এমন হয়েছে, যা মোটেই কাঙ্খিত নয়, জনস্বার্থ বিরোধীও। যেমন, গত মাসের ঘটনা, দিল্লি-বিলাসপুর রাজাধানী এক্সপ্রেসে যাত্রা করছিলেন এক যাত্রী। তিনি বায়ো টয়লেট ব্যবহার করার সময় ফ্লাশ করতেই বাধে বিপত্তি। কমোড থেকেই উলটে ছিটকে আসে বর্জ্য। ক্ষুব্ধ যাত্রী ১৫ এপ্রিল রেলে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বায়ো ভ্যাকুয়াম টয়লেটের বরাতপ্রাপ্ত কোম্পানিকে রেলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এমন ঘটনা শুধু ভ্যাকুয়ামে সমস্যা হলেই হয় না, কমোডে চায়ের কাপ, খাবারের প্যাকেট, খবরের কাগজ, ন্যাপকিন, পলি ব্যাগ ইত্যাদি আবর্জনা ফেললেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বায়ো টয়লেটে জ্যাম হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়। সেই জন্যই নড়েচড়ে বসেছে রেল। তাই এবার থেকে ট্রেনের শৌচালয়ে নজর রাখবে ভারতীয় রেল।