কলকাতা ব্যুরো: নেপালের ভিতরে ঢুকে চিন জায়গা দখল করে নিয়েছে। এমনকি সেখানে তুলে ফেলেছে বাড়িঘর। আবার সীমান্তে নতুন সীমানা চিহ্ন পিলার তুলে দিয়েছে সেই গ্রাম দিয়ে। কোন সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট নয়, নেপালের সরকারি প্রতিনিধি দল ঘুরে এসে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে নেপালের সরকারকে। লিমি অঞ্চলের জুমলা জেলায় এমন দখলদারি চালিয়েছে চিন। আর যে জায়গায় এই দখলদারি চালিয়েছে, তা ভারতের থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার মধ্যে। উত্তরাখান্ড পিথরাগরের কাছেই নেপালের সীমানায় এলাকায় ঢুকে পড়ে চিনের দখলদারি নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।কানাকানি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। চিনের নেপালের ঢুকে পড়ার খবরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছিল। গত ৫ অক্টোবর নেপালের ১৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল অভিযোগ নিয়ে সরোজমিনে তদন্তে যায় সেখানে। সেই দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ছাড়াও সরকারি অফিসাররাও ছিলেন তারা গিয়ে চিনের দখলদারি প্রত্যক্ষ করেন। তাদের বক্তব্য, সেখানে শুধু নেপালের জায়গায় বিল্ডিং তৈরি ই করেনি, সীমান্তের পিলার হিসেবে ১১ ও ১২ নাম্বার দেওয়া স্তম্ভ নেপালের মধ্যে পুঁতে দিয়েছে। ওই প্রতিনিধিদের থেকে পাওয়া তথ্য সানডে গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছে।এই খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষোভ-বিক্ষোভ। কাঠমান্ডুতে গত কয়েকদিন ধরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ও বুদ্ধিজীবীরা প্রবল হাঙ্গামা শুরু করে দিয়েছে। আগস্ট মাসেই চিন কোথাও কোনো আলোচনায় না গিয়ে নেপালের জায়গা দখল করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু নেপাল সরকার বিষয়টি নিয়ে এখনও তেমনভাবে চিনের ওপর চাপ সৃষ্টির পথে না যাওয়ায়, বিষয়টি দেশের মধ্যেই আরো বেশি ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের মতে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি অনেকটাই চিনের ভক্ত। তিনি কোনোভাবেই চিনের সঙ্গে কোন সংঘাতে যেতে চান না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে চিন নেপালের জায়গা দখল করেছে, তাতে এখনই প্রতিবাদ না উঠলে যে ভবিষ্যতে চিনের দিক থেকে বড় সমস্যা হতে পারে তা বুঝতে পারছেন সে দেশের নাগরিকরা।আর নেপালের জায়গা দখল করে ভারতের সীমান্তের কাছেই চীনের এই আগ্রাসনকে মোটেই ভাল ভাবে দেখছে না নরেন্দ্র মোদি সরকার।