এক নজরে

মার্কোস কমান্ডো নামাতেই লাদাখ নিয়ে বৈঠকে চিন

By admin

December 01, 2020

কলকাতা ব্যুরো: গরুর কমান্ডো ও প্যারা স্পেশাল ফোর্সের পর লাদাখ সীমান্তে মার্কোস কমান্ডো মোতায়ন করল ভারত। প্যাংগং লেকের ধারে মার্কোস কমান্ডো মোতায়েনের পর এখন কিছুটা বেসুরো সুর চিনের। এতদিনের অনড় মনোভাব জারি থাকলেও আগামী কয়দিনের মধ্যে দু দেশের সেনা বৈঠকে বসতে চায় চীন।এতদিন গলওয়ান সীমান্তে এবং প্যাংগং লেকের ধারে সেনা বাড়িয়েছে চিন। কিন্তু বর্তমানে – কুড়ি ডিগ্রী ঠান্ডায় লাদাখে এত সেনা রাখা যাবে কি না তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় এতদিনের গোয়ার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নবম রাউন্ড সেনা বৈঠকে বসবে চিন। ফলে সেনাদের সরানো হবে কি না প্যাংহং থেকে চীন সে ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানানোর পরই ভারত পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।এতদিন চিনের তরফেই আগ্রাসন বেড়েছে ওই সীমান্তে। ভারত শুধু তার মত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু চিনের লাল ফৌজের বাড়াবাড়িতে মার্কোস কমান্ডো নামাতেই এখন টনক নড়েছে বেজিংয়ের।বাহিনীর ইতিহাস বলছে, মার্কোস কমান্ডো পৃথিবীর অন্যতম খতরনাক বিশেষ বাহিনী। ভারতীয় নৌসেনার এই কমান্ডো বাহিনী জলে-স্থলে যুদ্ধ করতে সমানভাবে পারদর্শী। ফলে প্যাংগং লেকের ধারে এই বাহিনীকে পাঠিয়ে লাল ফৌজকে এখন বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। এই বাহিনী ভারতীয় সেনার ক্যাম্পগুলির নিরাপত্তাও নজর রাখবে।তবে যদি চিন, সীমান্ত থেকে এই শীতে বাহিনী সরিয়ে নেয়, তাহলে যে ভারত একই পথে হাঁটবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কারণ ডিসেম্বরের শীতে প্যাংগং লেকের ধারে এত ঠান্ডায় এতদিন বর্তমান অবস্থার মতো কোনো দেশে এত বাহিনী রাখেনি। কিন্তু বর্তমানে চিনের মতিগতি বোঝার আগে কোনমতেই সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে নারাজ ভারত।তাই আগামী 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত জোজিলা পাস ও তার সংলগ্ণ রাস্তাগুলি স্বাভাবিক রাখতে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের কর্মীদের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। কারণ যদি লাদাখে সেনা শেষ পর্যন্ত রাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের আরও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, খাবার-দাবার পৌঁছনোর ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা আরো জরুরি।