সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারত-আমেরিকা মন্ত্রি পরিষদের আলোচনার তৃতীয় দফায় প্রতিরক্ষা চুক্তি, বেসিক এক্সচেঞ্জ এবং সহযোগিতা চুক্তি (বিইসিএ) স্বাক্ষরিত হল। এই চুক্তির ফলে ভারত ও আমেরিকা সহজেই সামরিক ও সীমান্ত সুরক্ষা ও টোপোগ্রাফিক তথ্য যেমন কোনো এলাকার ভৌগলিক মানচিত্রের আদানপ্রদান করতে পারবে যার ফলে ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো স্ট্যান্ড-অফ অস্ত্রগুলির প্রয়োগে সুবিধা হবে দুই দেশের। এর আগেও ২০১৭ সালে ডোকলামে সীমান্ত বিবাদে এমনই সাহায্য করে আমেরিকা।

এই চুক্তির সাহায্যে মার্কিন নাসা ও ভারতীয় ইসরো যৌথভাবে পৃথিবী পর্যবেক্ষক সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার (NISAR ) স্যাটেলাইট বানাতে পারে। ভারতে আসতে পারে ২২ অথবা ৩০ টি এম কিউ ৯ বি রিপার ড্রোন। এই চুক্তির সাহায্যে সহজেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা, ভারত মহাসাগরে এবং দক্ষিণ চিন সাগরে দখল বাড়বে ভারত ও আমেরিকার।

প্রতিরক্ষাই হোক বা বাণিজ্য, বিগত কয়েক বছরে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠতা লক্ষণীয়। এর আগে ২০১৬ তে লজিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অফ এগ্রিমেন্ট(LEMOA ) ও ২০১৮ তে কমিউনিকেশন কোমাটিবিলিটি এন্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট ( COMCASA ) সাক্ষর হয়।ঠিক NATO র মতো ভারত ও আমেরিকার কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতার ফলে দিল্লিকে সুরক্ষার দিক নিশ্চিন্ত করবে আমেরিকা। তবে অন্য দিকে এই ঘনিষ্ঠতার প্রভাব পড়তে পারে অন্যান্য দেশ বিশেষ করে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কে।বিগত কয়েক বছরে এই দুই দেশের উপর ঠান্ডা যুদ্ধের কারণে অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন। ভারত যেমন বাণিজ্যিক দিক দিয়ে আমেরিকার উপর নির্ভর তেমনি সামরিক ভাবে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। আমেরিকার সাথে বেড়ে ওঠা বন্ধুত্ব অসন্তোষের কারণ হচ্ছে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে।এক্ষেত্রে সুবিধা বাড়তে পারে প্রতিবেশী চিনের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version