কলকাতা ব্যুরো: বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জেলে থাকার পরেও তিনি বদলাননি নিজেকে। কলকাতা হাইকোর্টের একসময়ের বিচারপতি সিএস কারনান ফের বিতর্কে মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে। অভিযুক্ত কারনান একসময় মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। পরে তাকে বদলি করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতাতেও তিনি বরাবর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এবার মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের দশ জন মহিলা আইনজীবী ২৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন. জাস্টিস কার নানের ওই কুরুচিকর মন্তব্যের ভিডিও এখন হোয়াটসঅ্যাপে এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই মহিলা আইনজীবীরা।
মহিলা আইনজীবী থেকে শুরু করে মহিলা বিচারপতি, এমনকি আদালতের মহিলা কর্মীদের নাম করে নানান রকম যৌন হেনস্থামুলক কথাবার্তা প্রকাশ্যেই বলেছেন কারনান। এর আগেও অবশ্য তিনি একই রকম অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি এমন কিছু অভিযোগ করেছেন, যেখানে মহিলাদের নাম করেই প্রকাশ্যে তাদের বিচারপতি রাত যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন।
এমনকি এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতির সম্পর্কে কুমন্তব্য করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তাদের স্ত্রীদেরও নানান রকম কথা বলার অভিযোগ ছিল কারনানের বিরুদ্ধে।
কলকাতা হাইকোর্টে আসার পরেও বিতর্কে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন কারনান। একদিকে তিনি নিম্নবর্গের জাতি থেকে উঠে আসায় তাকে অপদস্ত করার অভিযোগ তিনি বারবারই করতেন। অন্যদিকে কলকাতায় পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের জামিন বিতর্কে জড়িয়ে যায় তার নাম।
সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করায় তিনি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেই তাকে কলকাতায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেশ কিছুদিন জেল খাটার পরে তিনি বেরিয়ে চেন্নাইয়ে চলে যান। সেখানেই একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেন কারনান।