কলকাতা ব্যুরো: চার দিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেল চার গুণ। শনিবার একদিনে গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে চার হাজার। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ২৩০০ জন। এই তালিকায় কলকাতার পরেই উত্তর ২৪ পরগনা। এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট, করোনার তৃতীয় ঢেউ কতটা দ্রুতগতিতে আছড়ে পড়েছে রাজ্যে।
এদিন পরিস্থিতি বিবেচনা করে একে একে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান বাতিলের নির্দেশ দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের নতুন করে শিবির শুরুর কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট উইক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় সেই অনুষ্ঠানে বাতিলের কথা জানিয়েছে নবান্ন।
গত চার দিনে একদিকে করোনার যেমন বাড়ছে তেমনি রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রণ আক্রান্তের সংখ্যাও। শনিবার পর্যন্ত ১৮ জন ওমিক্রণ আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে রাজ্যে। এই অবস্থায় আগামী ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে সাগর মেলা বন্ধের দাবি উঠেছে। কারণ সেখানে কয়েক লক্ষ লোক ভিন রাজ্য থেকে পুণ্য লাভের জন্য আসেন। সেই ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে করতে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ করতে হয় পুলিশকর্মী। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারি প্রশাসনের একটা বড় অংশকে নিয়োগ করা হয় সাগর মেলায়। তাই সাগর মেলা বন্ধ না করলে আগামীতে পুলিশ প্রশাসনের একটা বড় অংশের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে একদিনে ৩৫ হাজার পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কথা ইতিমধ্যেই শুনিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় যেকোনোভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে পদক্ষেপ করার জন্য দাবি উঠেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের দেরিতে পদক্ষেপ করা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
গোটা দেশেই করোনা দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে নতুন গাইডলাইন ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য গুলিকে পরীক্ষা আরো বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন নতুন হাসপাতাল এবং আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত গতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিম রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।