এক নজরে

Kolkata Pujo: ভিড় হালকা অষ্টমীতে, স্বস্তি পুলিশ-চিকিৎসকদের

By admin

October 14, 2021

কলকাতা ব্যুরো: গত তিন চারদিন ধরে শহরের নামজাদা পুজো গুলির ভিড় দেখে করোনা ছড়ানোর আতঙ্কে গেল গেল রব উঠেছিল। কিন্তু এবার অষ্টমীর দুর্গা পুজোয় হঠাৎ করেই সেই ভিড় উধাও। পথে মানুষ রয়েছে। ঠাকুর দেখতে দর্শক যাচ্ছে। কিন্তু অষ্টমীর সন্ধ্যে থেকে রাত যত বেড়েছে ততোই ফাঁকা হয়েছে রাস্তা। দক্ষিণের শ্রীভূমি, একডালিয়া বা মুদিয়ালিতে সেই মানুষের ঢল কোথাও উধাও হয়ে গিয়েছে।একইভাবে কলেজ স্কোয়ার, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ বা বেহালা কিংবা বরিশা ক্লাবের জমজমাট থিম পুজো দেখতে দর্শক গেলেও তাতে কখনো মাত্রাছাড়া মনে হয়নি। রাস্তায় পুলিশের সংখ্যা নজর কেড়েছে মানুষের মাথার থেকে।গত কয়েকদিন ধরে মূলত লেকটাউন শ্রীভূমির বুর্জ খলিফার আদলে মন্ডপ একেবারে পাগলপারা করে তুলেছিল দর্শকদের।

অধিকাংশই হয়তো ভেবেছিলেন, সপ্তমী থেকে কড়াকড়ি বাড়বে, তাই যতটা সম্ভব আগে ঠাকুর দেখে নিতে। বিভিন্ন পুজোর উদ্যোক্তারা মানছেন, যে গত কয়েক দিনের ঠাকুর দেখার যে ভিড়, তা অষ্টমীতে একেবারেই উধাও। দক্ষিণ থেকে উত্তর, পূর্ব থেকে পশ্চিম– ছবিটা সর্বত্রই কমবেশি একই। পুলিশও মানছে, এদিনের ভিড় এতটা কম হবে গত কয়েক দিনের ভিড়ের বহর দেখে তারা আশা করেননি। কিন্তু এতে অষ্টমীর রাতে রাস্তায় থাকা পুলিশ কর্তারা অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তুলনামূলকভাবে দর্শক রাস্তায় নামায়।

মুদিয়ালি ক্লাব
Suruchi sangha
কলেজ স্কয়ার

অন্যান্য বছরের মতোই পুজোর চার দিন সকালের দিকে তুলনায় রাস্তায় বাস বা অন্য গাড়ির সংখ্যা থাকে কম। দুপুরের পর বিকেল গড়াতেই ছবিটা বদলে যায়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু রাস্তায় রাত পর্যন্ত গাড়ি থাকলেও অধিকাংশকেই ছিল হাতেগোনা যাত্রী। অন্যান্যবারের নির্দিষ্ট কোন একটি মন্ডপকে কেন্দ্র করে বাস গুলি যাত্রী তুলতো বিভিন্ন পুজোর নাম করে। যেমন এবার বহু বাসে ‘বুর্জ খলিফা যাবে’ বলে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে লেকটাউন হয়ে বিভিন্ন দিকে চলাচলকারি বাস।অন্যান্যবারের দেশপ্রিয় পার্ক বা শ্রীভূমি- এমন নানা মন্ডপের পথে যাওয়া বাসে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এবার সেই ভিড়ের লেশমাত্র নেই অষ্টমীর রাতে। যা নিয়ে চিকিৎসকরা যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মানুষ নিজে বুঝেছে আর তাই অন্তত করোনা আবহে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হয়েছে বেরোনো। এটা যেন আগামী কয়েকদিন বজায় থাকে তা পুলিশ প্রশাসনের নিশ্চিত করা জরুরি।