কলকাতা ব্যুরো: ফেনসিডিল বা জাল নোটের এপার-ওপার নয়, পাচারকারীদের হাতে বড় বড় বস্তা দেখে বিএসএফের সন্দেহ ছিল আরো মূল্যবান কিছু পাচার করা হচ্ছে এপারে। সীমান্ত টপকে পাচারকারীরা যখন বস্তা নিয়ে ঢুকে পড়েছিল প্রায় এ রাজ্যের সীমানায়। বাঁধ সাধলো বিএসএফ। রে রে রে রে রে করে বন্দুক হাতে তাড়া করতেই বস্তা ফেলে পগারপার।
বস্তায় কী আছে তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা চলতে চলতেই একজন বস্তা খুলে উঁকি মারতেই অবাক সকলে। বেরিয়ে এলো ইলিশ মাছ! এত ইলিশ বিস্মিত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তারাও। হিসেব করে দেখা গেলো প্রায় ১০০ কেজি ইলিশ।
বাংলাদেশে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কড়াকড়ি করেছে সেদেশের সরকার। পাশাপাশি ইলিশ যাতে ভিনদেশে না চলে যায় সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। এরই মধ্যেই ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা গুঞ্জনে ওলট পালট হয়ে যায় সবকিছু। লকডাউনে যাতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে না পারে সে ব্যাপারে সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক করে কেন্দ্র।
ফলে জুলাই, আগস্ট মাস থেকেই অন্য বার চোরাপথে যেটুকু ইলিশ ঢুকে পড়ে এবারে সেখানেও বাধা হয়েছিল করোনা।
এরইমধ্যে বনগাঁ সীমান্তে এক ট্রাক চালকের আসনের নিচ থেকে প্রায় ১৬০ কেজি ইলিশ উদ্ধার করেছিল বিএসএফ আর। এবার উত্তর ২৪ পরগনারই বাউর লেকের কাছ থেকে চোরাচালানকারীদের ফেলে যাওয়া প্রায় ১০০ কেজি ইলিশ উদ্ধার হল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা।
এখন জল্পনা সেই মাছ নিয়ে কী করবেন জওয়ানরা। বাজেয়াপ্ত করা মাছ সরষে দিয়ে খাওয়া হবে, নাকি আরো নানা পদে খেয়ে ঢেঁকুর তুলবেন ইলিশের। না কি সিজার করা সেই ইলিশ মালখানাই ফেলে রেখে পচা ইলিশের গন্ধ শুকবেন!