কলকাতা ব্যুরো: সাধারণতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে দেশজুড়ে উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেশের প্রতিটি অংশেই নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এ বছর সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে এ রাজ্যের জঙ্গলমহল সংলগ্ন জেলাগুলিকে।

সূত্রের খবর, জঙ্গলমহলের চার জেলায় ২৬ জানুয়ারিতে গোয়েন্দা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেইমতো বিভিন্ন রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড-সহ জনবহুল স্থানগুলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিশি তল্লাশি।

প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেশে হামলার আশঙ্কা থাকে। সেইমতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্কবার্তাও থাকে। তবে এবছর রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাও সতর্কতা জারি করেছে। সূত্রের খবর, মাওবাদীরা নাশকতা ঘটাতে পারে, এই আশঙ্কায় জঙ্গলমহলের মোট চার জেলা – পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ২৯ টি থানাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এই ২৯ টি থানাই মাওবাদী অধ্যুষিত।

রাজ্য পুলিশের আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) সুনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে আমাদের জঙ্গলমহলের থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। শুধু থানাই নয়, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পগুলিকেও জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।

গত দু, তিন বছর ধরে এসব দিনে জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদীদের সক্রিয়তা বাড়ে। ১৫ আগস্ট কিংবা ২৬ জানুয়ারিতে ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। তাদের নামাঙ্কিত বেশ কিছু পোস্টারও উদ্ধার হয়। ফলে পুলিশের নজরদারি বাড়ে। সম্প্রতি আবার পুরুলিয়ার কাছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় মাওবাদীদের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সক্রিয় হচ্ছে বিভিন্ন স্কোয়াড।

শুক্রবারই ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী শীর্ষনেতা মহারাজ প্রামাণিক অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করেছে। তাতে সংগঠন খানিকটা দুর্বল হলেও অন্যান্য সদস্যরা নিজেদের মতো করে কোনও অপারেশনের পরিকল্পনা করতেই পারে। এই অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরেই জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বিশেষ দিনগুলোয় বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবারও জেলার পুলিশ সুপারদের চিঠি পাঠিয়ে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করার কথা মনে করালো রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version