কলকাতা ব্যুরো: বাজি পোড়ানো আটকাতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বা একাংশের নাগরিকের সচেতনতাতেও বাতাসে দূষণ পুরোপুরি ঠেকানো গেল না রাজ্যে। বুধবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাস চিহ্নিত হয়েছে হাওড়া শহরে। ওইদিনই তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। তবে হাওড়ায় দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি হয়েছে, হাওড়ার কয়েকটি শিল্পতালুক এলাকায় জল ছেঁটানোর পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।পরিবেশ দপ্তর এর হিসেব বলছে, গত বুধবার দিল্লি সহ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ান দূষণে পিছিয়ে গিয়েছে হাওড়ার থেকে। অবশ্য সে ক্ষেত্রে দিল্লি ও আশপাশে ওইদিন বৃষ্টির জন্য কিছুটা ওই শহরগুলিতে দূষণ কমেছিল।এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স অনুযায়ী, ওইদিন বেলা চারটের সময় হাওড়ায় বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ২৮৫, তারপরেই রাজস্থানের ভিওয়ান্ডি, বাতাসে দূষণের মাত্রা ২৬৭, তৃতীয় স্থানে কলকাতায় ২৪৫ আর বৃষ্টির পরেও দিল্লিতে সেদিন ছিল ২১১।এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স অনুযায়ী, ০ থেকে ৫০ যদি বাতাসে দূষণ পাওয়া যায় তা ভালো বলেই চিহ্নিত হয়, ৫১ থেকে ১০০ সন্তোষ জনক, ১০১ থেকে ২০০ মডারেট, ২০১ থেকে ৩০০ পুয়োর, ৩০১ থেকে ৪০০ খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ বিপদজনক বলে ধরা হয়।লকডাউন চলাকালীন ১ মে সারা ভারতে যখন সবকিছু স্তব্ধ ছিল সেদিন কিন্তু কলকাতা ও হাওড়ায় দূষণের মাত্রা পঞ্চাশের নিচে ছিল।হাওড়ার মধ্যে সবচেয়ে দূষণ প্রবন এলাকা ঘুসুড়ি। মূলত শিল্পতালুক হিসেবেই পরিচিত। সেখানে দূষণ এতটাই বিপদসীমার উপরে ছিল যে, সেখানে জল ছড়ানোর পরামর্শ দেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। একইসঙ্গে কলকাতার বেশ কিছু দূষণ প্রবন এলাকাতেও প্রয়োজনের জল ছেটানোর জন্য দমকল কে সতর্ক করা হয়।বৃহস্পতিবার একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়ায় কালীপূজায় বাজি ফাটিয়ে দূষণ ছড়িয়েছে বলে মনে করেছে। হাইকোর্ট বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ কর লে ও হাওড়ার ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি বলে অসন্তুষ্ট আদালত। এদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এর রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট, একদিকে শিল্পাঞ্চল, অন্যদিকে সামগ্রিকভাবে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি হওয়ায় দেশের মধ্যে প্রথম হাওড়া।