কলকাতা ব্যুরো : স্টাফ স্পেশালে ওঠা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই হাওড়া স্টেশনে চলছে যাত্রী বিক্ষোভ। রবিবার থেকে স্টাফ স্পেশাল এবং বিভিন্ন স্টেশনের ঢোকা বেরোনোর প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে। নজরদারি চলছে। হাওড়া ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার মোহাম্মদ আসলাম জানিয়েছেন, প্রতিদিন স্টেশনের বাইরে যেভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে তাতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রেল বন্ধ আছে। স্পেশাল ওঠার অনুমতি নেই।
যদিও গত কয়েকদিন ধরে হাওড়া স্টেশনের বাইরে যেভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে তাতে চিন্তা বেড়েছে রেলের। রেলের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যকেই। আলোচনা শুরু করতে হবে । এরমধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে। তবে আলোচনা সম্ভবত সোমবার হবে বলে জানা যাচ্ছে। সোনারপুর থেকে পান্ডুয়া, ব্যান্ডেল থেকে লিলুয়া, কাঁচরাপাড়া থেকে বজ বজ গত কয়েক দিনে একাধিক স্থানে স্পেশাল ট্রেন নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এমনকি ট্রেনে ভাঙচুর করার চেষ্টা হয়েছে। মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে হাওড়া শিয়ালদা ডিভিশনে। এই রাজ্যে ভারতীয় রেলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেন। গত ২২ মার্চ থেকে রেল পরিষেবা বন্ধ। একমাত্র স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে। আনলক এর সময় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও লোকাল ট্রেনের চলাচল শুরু হয়নি। বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাতায়াত করতে এখনো ভরসা এই লোকাল ট্রেন। এই অবস্থায় প্রতিদিন বিভিন্ন মহল থেকে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি উঠেছে।
পুজো এসে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছিল রেলের। রেল আধিকারিকদের অনেকের মতে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় ঠাকুর দেখার জন্য বহু মানুষ স্পেশাল উঠে যেতে পারেন আর সেরকম হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ত অনেকটাই। সেই জন্যই ট্রেন চলাচল সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে স্পেশাল নিয়ে বৈঠক করেছে আরপিএফ এবং জিআরপি। হাজির ছিলেন রেলের কমার্শিয়াল বিভাগের আধিকারিকরা। রেল কে সবথেকে বেশি যেটা ভাবাচ্ছে তা হলো শহর ও শহরতলীর একাধিক স্টেশনে ঢোকার জন্য একাধিক গেট আছে। সেই গেট দিয়ে যদি মানুষ একসাথে ঢোকা বেরোন করেন তাহলে সমস্যা বাড়বে। সে জন্য রেলের তরফে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বাছাই করা প্রায় ৭০ টি স্টেশনে থাকছে বিশেষ নজরদারি। এতকিছুর পরও ভয় কাটছে না রেলের। স্টাফ স্পেশাল নিয়ে মাথাব্যথা বেড়েই চলেছে।