কলকাতা ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ গভীর নিম্নচাপে বদলে গেলেও ভরা কোটালের কারণে হুগলি নদীতে জলচ্ছ্বাস রয়েছে। আর সেই কারনেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বন্ধ করা হল হাওড়া-কলকাতা ফেরি চলাচল৷ হাওড়া ও কলকাতার সব ঘাটে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে পরিবহন দফতর৷ হুগলি নদীর জলস্তর এবং স্রোত বাড়ায় রবিবার দুপুর থেকে সবক’টি ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রী সুরক্ষার জন্য হাওড়া ও কলকাতা দুই তরফেই প্রতিটি ঘাটে রিভার ট্রাফিক পুলিশের তরফে নজরদারি করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে অস্থায়ী ঘাটগুলিতে কেউ যাতে নৌকায় করে নদী পারাপার করতে না পারেন, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে ৷ হাওড়া পৌরনিগমের তরফেও ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে ৷ যাতে পৌরনিগম এলাকায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় ৷ ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা নিয়ে হাওড়া ফেরিঘাটের এক কর্মী জানান, কর্তৃপক্ষের তরফে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ খারাপ আবহাওয়া ও অমাবস্যার ভরা কোটালের জন্যই এই নির্দেশ বলে তিনি জানান।
তবে, কতদিন এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি জেলা প্রশাসন ৷ আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া ফেরিঘাটের ওই কর্মী ৷ জলচ্ছ্বাসের কারণে লঞ্চের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাই সেগুলিকে হাওড়া জেটি, আর্মেনিয়ান ঘাট ও ফেয়ারলি প্লেসের জেটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে।
জেটি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা ৷ বিশেষত, বিকেলে অফিস ফেরত যাত্রীদের ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলেই জানানো হয়েছে ৷ অমাবস্যার ভরা কোটালের প্রভাব যতক্ষণ না কমছে, ততক্ষণ ফেরিঘাট বন্ধ থাকবে।