কলকাতা ব্যুরো: ভারতে করোনার থাবায় প্রভাব পরেছে শিক্ষাব্যবস্থার উপরও। ফলস্বরূপ ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতির আশংকা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ২০২১ এর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের মূল্যায়নের পদ্ধতি বদল করে পরীক্ষা নেওয়ার বিকল্প পথের সন্ধান শুরু হয়েছে।নবম শ্রেণির ফলাফলের ৫০ শতাংশ এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল ফরমেটিভ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের পঞ্চাশ শতাংশের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ মাধ্যমিক ফলাফলগুলি মূল্যায়নের জন্য ৫০ – ৫০ সূত্র গ্রহণ করা হবে।কেউ এই ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে করোনা পরিস্থতি স্বাভাবিক হলে পড়ুয়ারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। যদিও প্রশ্ন উঠেছে যদি কেউ নতুন এই মূল্যায়ন পদ্ধতি সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি কতদিন ফিজিক্যালি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন কারণ করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত নয় সে ক্ষেত্রে সেই পড়ুয়ার বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে পাশাপাশি এমন মূল্যায়ন পদ্ধতি সাধারণ মানের পড়ুয়ারা বেশি উপকৃত হবেন তথাকথিত ভালো আগের থেকে এমনটাই আশঙ্কা করছেন শিক্ষক তাদের মতে এই মূল্যায়ন পদ্ধতি তে যারা তথাকথিত ভাল ছাত্র ছাত্রী তাদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত চারটি বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বরের ৪০ শতাংশ নম্বর, ২০২০ সালে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি ) প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ % এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রজেক্ট (20) অথবা প্র্যাক্টিকালের (৩০) নম্বর যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ…
মাধ্যমিকের ৪০% ওয়েটেজ অর্থাৎ ৭০ এর ৪০%= ২৮
কোনো পড়ুয়া যদি মাধ্যমিক পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে ৪০০ র মধ্যে ২০০ পায়, তাহলে তার ওয়েটেজ অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বর হবে =( ২৮×২০০/৪০০)= ১৪
একাদশ শ্রেণির ৬০% ওয়েটেজ অর্থাৎ ৭০ এর ৬০%= ৪২
কোনো পড়ুয়া যদি একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ৭০ মধ্যে ৫০ পায় তাহলে তার ওয়েটেজ অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বর হবে = (৪২×৫০/৭০)=৩০
তাহলে সেই বিষয়ে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হল (১৪+ ৩০+১৮)= ৬২
এই মূল্যায়ন প্রযোজ্য হবে প্র্যাক্টিকাল রয়েছে সেই সব বিষয়ের ক্ষেত্রে। আর্টস এবং কমার্স ক্ষেত্রে পুন্যমান থিওরি (৮০) প্র্যাক্টিকাল (২০) ধরে মুলায়ন করা হবে।
কোভিড-19 কারণে পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এই পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।