কলকাতা ব্যুরো: স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৬ সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে বাংলা বিষয়ে দু’জনকে চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে, যাঁদের মেধাতালিকায় নামই ছিল না। এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে স্বয়ং স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপরই সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছে, এই দুর্নীতির পিছনে কারও হাত আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে। কাদের হাতের পুতুল সরকারি অফিসাররা? এর পিছনে আর্থিক লেনদেন থাকলে তাও দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা চরম বিস্ময়ের যে প্রার্থী নিয়োগ হয়েছে, অথচ তাদের কোনও নাম প্যানেলে নেই। কী করে এটা হলো, তা খুঁজতে হবে সিবিআইকে। এই নিয়োগের ব্যাপারে এসএসসি ৪ জানুয়ারি চেয়ারম্যান তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্টেও তালিকার বাইরে লোককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জুঁই দাস ও আজাদ আলি মির্জার নাম না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়েছে। সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে প্রাথমিক রিপোর্ট ২৮ মার্চ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই নির্দেশ তাদের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরদৌস সামিম বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া। সিবিআই অনুসন্ধান ঠিকঠাক হলে দু’জন নয়, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে।
এছাড়া প্যানেল বহির্ভূত শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এসএসসির সদ্য প্রাক্তন পরামর্শদাতা শান্তি প্রসাদ সিনহা ও প্রোগ্রাম ইনচার্জ সমরজিৎ আচর্য্যাকে তলব করলো হাইকোর্ট। ২ মার্চ তাদের ব্যাক্তিগত হাজিরা দিতে হবে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর এজলাসে। এই মামলায় সোমবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার ও চেয়ারম্যান ইন চার্জ অশোক সাহা হাজিরা দিলেন হাইকোর্টে।