কলকাতা ব্যুরো: দুই আদালত কলকাতার দুটি বড় জলাশয়ে ছট পুজো করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, শুক্রবার সকাল থেকে একদল মানুষ রবীন্দ্র সরোবরে পুজো করতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রবীন্দ্র সরোবর এর তিন নম্বর গেটের সামনে কয়েকশো মানুষ তাদের অন্তত দু ঘন্টার জন্য ছট পুজো করার অনুমতি দেওয়ার দাবি তোলেন। পুলিশ তাদের আদালতের নির্দেশের কথা জানানোর পরেও তারা অনড় ছিলেন। যদিও দীর্ঘ সময় তাদের সঙ্গে কথাবার্তার পরে তারা কিছুটা পিছু হটেন।
যেখানে প্রথমে জাতীয় পরিবেশ আদালত ও পরে সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট রবিন্দ্রসরবর ও সুভাষ সরোবরে এবার ছট পুজো করা যাবে না বলে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে কাদের ইন্ধনে এমনভাবে বিক্ষোভ দেখানো হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা মানা হবে।
কিন্তু তারপরেও কারা এই বিক্ষোভকারীদের পিছন থেকে মদত দিচ্ছে সেই প্রশ্ন কিন্তু পিছু ছাড়ছে না। কারণ গত বছরও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়েছিলেন কিছু লোক। গতবার তেমনভাবে পুলিশ ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। আবার যে পুলিশ কর্মীরা ছিলেন, প্রায় তাদের চোখের সামনেই গেট ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়েছিল কিছু লোক। একটা অংশের যে সেক্ষেত্রে মদত ছিল ওই ব্যক্তির পিছনে তা স্পষ্ট বলেই মনে করেন আইনজীবীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা কোন নির্দেশ অমান্য করবেন না। শুধুমাত্র শুক্র ও শনিবার অন্তত এক ঘণ্টা করে পুজোর জন্য ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ।
রবীন্দ্র সরোবরের সঙ্গে সুভাষ সরোবর এবার কোর্টের নির্দেশে ছট পুজো করার অনুমতি নেই। তাই বাঁশ এবং টিন দিয়ে গোটা চত্বর ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আবার ছট পুজোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য, বহু জায়গায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কতটা আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে এবার গঙ্গার ঘাটে ভিড় এড়ানো যায়, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version