কলকাতা ব্যুরো: বড়দিনে বরফের বিড়ম্বনা পর্যটকদের জন্য। বছর শেষে সিকিম, এমনকি দার্জিলিং গিয়েছেন যাঁরা বরফ দেখতে, তাদের নিরাশ করেনি প্রকৃতি। ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির, নাথুলা থেকে শুরু করে দার্জিলিংয়ের চটকপুর পর্যন্ত বরফ পড়েছে। আর এই বরফপাত এর ফলে বিরম্বনা বেড়েছে পর্যটকদের। শনিবার সকাল থেকে প্রায় পৌনে ৪০০ গাড়ি ভিড় জমায় ছাঙ্গু সহ আশপাশের এলাকায় বিপত্তি বাধে তাতেই। গোটা রাস্তা বরফের চাদরে ঢাকা। এই অবস্থায় কোনও গাড়ি আর এগোতে পারেনি। ফলে যানজট লেগে যায়। এমনকি রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়ি পিচ্ছিল পথে গড়িয়ে গিয়ে, দুর্ঘটনার উপক্রম হয়। নামাতে হয় সেনাবাহিনী।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে রবিবার আপাতত আর কোনো গাড়ি ওই পথে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। পর্যটকদের সেনাবাহিনী নিরাপদে সেখান থেকে নিজেদের ক্যাম্পে নামিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কাল রাস্তা বরফ মুক্ত করার পরেই তাদের ফেব গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে।গত কয়েকদিন ধরেই পূর্বাভাস মত দার্জিলিং এবং সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় বরফের দেখা মিলেছিল। বড়দিনে তা প্রবল আকার নেয়। এদিন সকাল থেকেই বরফ পড়তে শুরু করে ছাঙ্গু, নাথুলা পাস, বাবা মন্দির সহ সিকিমের বহু এলাকায়। বাদ যায়নি দার্জিলিংও। টাইগার হিল, কালিম্পংয়ের বেশ কিছু এলাকাতেও বরফ পড়ে।

কিন্তু সবচেয়ে সমস্যা তৈরি হয় সিকিমে। সিকিম পুলিশের আইজি এদিন সন্ধ্যায় জানান, প্রবল বরফে সেখানে রাস্তা বন্ধ। ২৭৫ টির বেশি গাড়ি আটকে রয়েছে চাঙ্গুতে। সেখানে পর্যটকরাও আটকে গিয়েছে। যেহেতু গোটা রাস্তা জুড়ে বরফ, তাই গাড়ি একচুলও নড়ছে না। এই অবস্থায় সন্ধের মধ্যে সেখান থেকে কয়েকশো পর্যটককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। সেনাকর্তাদের আশা, সকালের মধ্যে নতুন করে বড় পাত না হলে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া সম্ভব হবে। তাই রবিবার আর ওই রাস্তায় কোনো গাড়ি নতুন করে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বরফপাত হলেও তা দেখতে যাওয়ার আর উপায় থাকল না পর্যটকদের।

শিলিগুড়ির পর্যটন সংস্থাগুলির দাবি, তাদের মাধ্যমে যে সমস্ত পর্যটকরা এদিন সিকিমে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন, তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। যখনই বরফ পড়তে শুরু করে, অভিজ্ঞ চালকরা তখনই গাড়ি ঘুরিয়ে নিচে নেমে আসেন। মূলত যেসব পর্যটকরা নিজেদের উদ্যোগে গাড়ি নিয়ে এদিন ছাঙ্গু বা বাবা মন্দিরের দিকে গিয়েছেন, তারাই সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি পর্যটন সংস্থাগুলির।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version