কলকাতা ব্যুরো: দক্ষিনের বাতাসের সৌজন্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকলেও সামগ্রিক ছবিটা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় যখন হালকা মাঝারি বৃষ্টি নিয়মিত হয়ে চলেছে তখন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ একদমই রাফ অ্যান্ড টাফ। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া গরমের দৌড়ে পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার খেলায় নেমে পড়েছে। মার্চের শেষে তাপপ্রবাহের সতর্কতা ছিল এই তিন জেলায়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পিকচার আভি বাকি হ্যায় কারণ রাজস্থান থেকে বিহার, উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আগামী পাঁচদিন তাবপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাব বঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা। ফলে আসানসোল বিধানসভার উপনির্বাচনের আবহাওয়া শুধু রাজনৈতিকভাবে নয় প্রকৃতিগত ভাবেও উত্তপ্ত থাকার সম্ভাবনা। এই অবস্থায় কালবৈশাখীই একমাত্র রেহাই দিতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত কালবৈশাখীর দেখা নেই ৷

ইতিমধ্যে গরমে সুস্থ থাকতে সতর্কতা জারি করছেন চিকিৎসকরা। অপ্রয়োজনীয় কারণে দুপুরে বাইরে বেরাতে নিষেধ করছেন। প্রয়োজনে বেরাতে হলে সঙ্গে ছাতা রাখার কথা বলছেন তাঁরা। বার বার জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন। সঙ্গে জলের বোতল রাখার কথা বলছেন। অসুস্থ বোধ করলে ছায়ায় বসার পরামর্শ দিচ্ছেন। খাবারের দিক থেকেও সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেছেন ৷ রাস্তার ধারের কাটা ফল, রাস্তায় ফলের রস না খাওয়া কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার কলকাতা এবং তার পাশাপাশি অঞ্চলে রাতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কমে ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। দিনে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। রবিবার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি এবং ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

তবে রবিবার উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা এবং সিকিম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। তাই বলাই যায় উত্তরবঙ্গে যখন ধারাস্নান চলছে তখন দক্ষিণবঙ্গ চাতক পাখি।