কলকাতা ব্যুরো: হাতরাসের ঘটনায় নারকো টেস্ট হবে এসপি,ডিএসপি-র। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। হাতরাসের ঘটনায় তৈরি তিন সদস্যের সিটের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতেই তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আরো কয়েকজন অধস্তন পুলিশ কর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের ওপর। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ টুইট করে বলেন, মহিলাদের ওপর অসম্মান কোনোমতেই বরদাস্ত করবে না সরকার। কেউ তা করলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। এটা উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্কল্প।
যোগী যাই বলুন, এই ঘটনায় কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার ভাইয়ের দাবি, তাদেরকে বাড়িতেই আটকে রাখা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন। শেখানো বয়ান লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আরো অভিযোগ, নির্যাতিতার কাকাকে মারধর করা হয়েছে। তিনি সাময়িক সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন। জেলাশাসক নিজেও হুমকি দিয়েছেন।
ওই পরিবারের সঙ্গে শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকেই নয়, কথা দেওয়া হচ্ছে না মিডিয়াকেও। যদিও চাপে পরে গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন,ওখানে কোনো মিডিয়া ইমার্জেন্সি নেই। পুরোটাই কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার। যদিও এই ঘটনায় দলকে অস্বস্তিতে ফেলে নয়টি টুইট করেছেন উমা ভারতী। যোগী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওখানে কেন বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হোক বিরোধীদের।