কলকাতা ব্যুরো: দলবল লোক লস্কর নিয়ে বৃহস্পতিবার হাথ্রাস যাওয়ার চেষ্টা করে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার আগেই আটকে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার সে পথে হাঁটেননি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। একেবারেই নিঃশব্দে দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে গিয়েছিলেন নির্ঝঞ্ঝাটে। কারণ কোন আগাম ঘোষণা বা বাড়তি লোকজন নিয়ে মিডিয়াকে জানিয়ে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেনি তৃণমূল। যদিও হাত্রসের সেই নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার দেড় কিলোমিটার দূরে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। তাদের সঙ্গেও রাহুল গান্ধীর এর মতই ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি কিছুই বাদ দেয়নি যোগী রাজ্যের পুলিশ। ডেরেক ও ব্রায়নের অবশ্য জেদাজেদি বেশি না করে, দীর্ঘ চেষ্টার পর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন।

আর ততক্ষণে অবশ্য সেখানেই দেশের মিডিয়া কুলের নজরে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূলের চার সদস্য। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মন্ডল এবং প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর সেখানে বসেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে এবং দলিতদের উপর অত্যাচার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন। আর সংবাদমাধ্যমও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের প্রতি এমন নির্দয় আচরণ ধিক্কার দিতে থাকে পুলিশকে।

যা ভোট বাজারে বিজেপির বিরোধিতায় তৃণমূলের হাতে বাড়তি ইস্যু হিসেবে উঠে এলো বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা। একদিকে দ লিতের প্রতি অত্যাচার, গণধর্ষণ, মৃত্যু, অন্যদিকে চার সাংসদকে আটকানো এবং হেনস্তার অভিযোগে শনিবার সকাল থেকেই কলকাতায় আন্দোলনে নেমে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সকাল থেকে কলকাতায় মহিলা কংগ্রেসের ধরনা অবস্থান চলবে। পাশাপাশি বিকেলে পদযাত্রা করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার বিকেল চারটে য় বিড়লা প্লানেটরিয়াম থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পর্যন্ত মমতার এই ধর্নায় রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে অভিযুক্ত করার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উঠে এলো হাথ্রাস থেকে।

যদিও গোটা ঘটনার পর কেন এখনো নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কোন স্পষ্ট জবাব নেই পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার হাট্রাসের জেলাশাসক যেভাবে মৃতের বাবাকে প্রায় হুশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যম আগামী দিনে থাকবে না, আমরাই থাকবো, এমন কথা মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ায়, আর তা ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় এখন পুলিশের সঙ্গেই যোগীর জেলাশাসক বিরোধীদের নিশানায় চলে এসেছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version