কলকাতা ব্যুরো: দীর্ঘ ২৩ বছরের কেরিয়ারে সরকারিভাবে ইতি টানলেন হরভজন সিং। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন ভারতের তারকা স্পিনার। শুক্রবার টুইট করে অবসরের কথা জানিয়ে সকলকে ধন্যবাদও দিলেন টিম ইন্ডিয়ার টার্বুনেটর।
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিল তরুণ এক অফ-স্পিনারের দুসরা। তিন টেস্টে ৩২টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তারপর একের পর এক সাফল্য চুম্বন করেছে ভাজ্জির ললাটে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের অন্যতম সফল সদস্য ছিলেন এই হরভজনই। ২০১১ বিশ্বকাপে ধোনির টিম ইন্ডিয়ার সেরা অফ-স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি।

তবে গত পাঁচ বছর দেশের জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৬ সালে শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। ১০৩টি টেস্টে হরভজনের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪১৭টি উইকেট। চতুর্থ ভারতীয় বোলার হিসেবে এই রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও আইপিএলে খেলা চালিয়ে গিয়েছেন ভাজ্জি। দীর্ঘদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ধোনির পাশে দেখা গিয়েছে চেন্নাই দলেও।
চলতি বছর আইপিএলে আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সে নাম লিখিয়েছিলেন। টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে কয়েকটি ম্যাচ খেলেও ছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার পর ফের চালু হওয়া আইপিএলে আর ২২ গজে দেখা যায়নি তাঁকে। আইপিএলের ১৩টি মরশুমে মোট ১৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন ভাজ্জি। ঝুলিতে ১৫০টি উইকেট। গড় ২৬।

৪১ বছরের তারকা স্পিনার ভালভাবেই জানতেন, জাতীয় দলে তাঁর উত্তরসূরিরা এসে গিয়েছে। তাই তাঁর সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। সে কারণেই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবসর নিলেন। আর সম্প্রতি নভজ্য়োৎ সিং সিধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উসকে দিয়েছেন ভাজ্জি। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে পারেন তিনি।

হরভজন বলেছেন, ‘যে টিমের হয়ে খেলেছি, সেরাটা দিয়েছি। টিমকে সাফল্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার লম্বা কেরিয়ারে বাবা, মা, দিদিরা, আমার স্ত্রী পাশে থেকেছে। ওরা না থাকলে এত দূর আসাই হত না। কেরিয়ারের সেরা মুহূর্তের কথা যদি বলতে হয়, কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে হ্যাটট্রিকটাকে সবচেয়ে আগে রাখব। ওই সিরিজে তিনটে টেস্ট মিলিয়ে ৩২ উইকেট নিয়েছিলাম। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি আর ২০১১ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয় আমার সবচেয়ে তৃপ্তির, সাফল্যের সময়। যাদের সঙ্গে খেলেছি, যাদের বিরুদ্ধে খেলেছি, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহকে ধন্যবাদ।

তবে সাফল্য যেমন পেয়েছেন, বিতর্কেও জড়িয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সঙ্গে বাগযুদ্ধ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের ম্যাচ খেলার সময় শান্তাকুমারন শ্রীসন্থকে চড় মারা, পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানো। বিতর্কে যতই জড়ান না কেন, মাঠে সাফল্য পেয়েছেন ঠিক। এত দিনে অবসর ঘোষণা করলেও ভারতীয় টিম থেকে বাদ পড়েছেন অনেক আগেই। বছর তিনেক শুধু আইপিএলটাই খেলতেন। ভাজ্জি যে আইপিএলের কোচিংয়ে আসছেন, সেই খবরও ছড়িয়েছে আগে।
1 Comment
It is in reality a great and useful piece of info. I am glad
that you just shared this useful information with us.
Please keep us up to date like this. Thanks for sharing.