কলকাতা ব্যুরো: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে মঙ্গলবারই চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তারই পালটা চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ, রামপুরহাট নিয়ে তাঁর বিবৃতিকে অযৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন ধনকড়।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে উপপ্রধানের খুন ও তারপর অগ্নিদগ্ধ হয়ে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ বিষয়ে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ধনকড়। সেই মন্তব্যেরই ‘নিন্দা’ করে তাঁকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে মমতা জানান, আপনি যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আপনার মন্তব্য নিরপেক্ষ তদন্তে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সাংবিধানিক পদে থেকেও এই ধরনের মন্তব্য কার্যত অসাংবিধানিক। এবার তারই পালটা দিয়ে চিঠিতে ধনকড় লিখেছেন, তাঁর বিবৃতির যে ব্যাখ্য়া করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত। রাজ্যপালের কথায়, রামপুরহাটের এই ঘটনার পর রাজভবনে নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারছি না।
এরপরই বাংলায় ভোটপরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও টেনে এসেছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে রামপুরহাট কাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চেয়েছেন তিনি। তবে এই তদন্তের জন্য সিটের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না ধনকড়। চিঠিতে সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সিট দোষীদের আড়াল করে। দোষীদের সেভ প্যাসেজ দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আগরতলায় যখন হিংসার ঘটনা ঘটে, তখন কোথায় থাকেন রাজ্যপাল? রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল সরকার যথাসম্ভব পদক্ষেপ করেছে। ঘটনায় আমাদের নেতা মারা গিয়েছেন। আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। সেখানে এসব রাজনীতি চলে না। মুখ্য়মন্ত্রী মনে করলে চিঠির উত্তর দেবেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার জন্য নিজের দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার ফেরার কথা থাকলেও আজই কলকাতা ফিরছেন তিনি। যেতে পারেন রামপুরহাটেও।