এক নজরে

RampurhatCrime: রামপুরহাটে যা ঘটেছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার

By admin

March 24, 2022

কলকাতা ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে এমন হত্যা-কাণ্ড ঘটেনি! যার ভয়াবহতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রামপুরহাট কাণ্ডে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর মঙ্গলবার থেকে রামপুরহাট হত্য়াকান্ড নিয়ে তোলপাড় হতেই নিজের দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে বুধবার কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল। আর কলকাতায় ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপালে বলেন, এই বিষয়ে কিছু বলব না। প্রধানমন্ত্রী ভয়াবহতা দেখে নিজেই বলেছেন। আশা করি তা সবাই শুনেছেন আপনারা।

রাজ্যপালের মতে, এই ধরনের ঘটনা আমরা আগে দেখিনি। প্রধানমন্ত্রীও এর প্রতিবাদ করেছেন বলে দাবি তাঁর। একই সঙ্গে ফের একবার বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যপাল বলেন, মহিলা এবং শিশুদের জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ! গণতন্ত্রে এর থেকে ভয়ঙ্কর আর কি হতে পারে ?

রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত নতুন কিছু নয়। তবে এবার নতুন করে রামপুরহাটের ঘটনাকে নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালের মধ্যে। ঘটনার পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ধনকড়। এমনকি আইনের শাসন নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে পালটা তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পালটা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে মমতা বলেন, আপনি যে পদে রয়েছেন সেখানে থেকে এমন মন্তব্য মানায় না। এমনকি তাঁর মন্তব্যে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন প্রশাসনিক প্রধান।

আর এই সংঘাতের মধ্যেই আজ পালটা জবাব দেন রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। যদিও পরে বিধবা ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই আক্রমণ শানান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, রাজ্যে একজন লাটসাহেব রয়েছেন। সেই লাটসাহেব কথায় কথায় বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। কিন্তু তিনি নিজে দিব্যি ঘুরে বেড়ান জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সর্বত্রই।

আর এই সংঘাতের মধ্যেই এদিন ফের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল ধণকড়। বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংসের এই চেষ্টায় আপনারা যুক্ত হবেন না। রামপুরহাটে যা ঘটেছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার। নারীত্বের জন্য লজ্জার।

তবে তাঁর এহেন মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। এমনকি নবান্ন-রাজভবন সংঘাতকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে।