কলকাতা ব্যুরো: হুন্ডাই গাড়ির চালকের দিকের আয়নার ভিতর এবং চালকের মাথার কাছে লাগানো আলোর বক্স এর মধ্যেই পাচার হচ্ছিল ৩০ টি সোনার বিস্কুট। মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলিগুড়িতে সেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স বা ডি আর আই উদ্ধার করল মায়ানমার থেকে মনিপুর, গুয়াহাটি হয় কলকাতায় পাচার করার সেই সোনার বিস্কুট। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দু কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ধৃত দুজন কলকাতার খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও আদতে এরা বিহারের আড়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। মায়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা সোনা কলকাতায় ডেলিভারি দেওয়ার জন্য নিয়ে আসছিল বলে ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে।

ডিআরআই জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে এ রাজ্য এবং সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তিনশ কেজি চোরাই সোনা তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১১৫ কোটি টাকা। আর বর্তমান বছরে জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে ৬৫ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

শুধু চোরাই সোনা নয়, ডি আর আই অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে যৌথ ভাবে ভিনদেশ থেকে পাচার হওয়া সিগারেট, বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্র, মাদক, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ, জাল নোট পাচার আট কায় বলে দাবি এই সংস্থার। দেশের বাইরে থেকে পাচার হয়ে আসা এমন পণ্য সামগ্রী ধরতে ডিআরআই সাধারণ মানুষকে আরো বেশি খবর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, যারা এই খবর দেবেন তাদের নাম গোপন রাখা ছাড়াও তাদের পুরস্কৃত করা হবে। সেই আর্থিক পুরস্কারের জন্য সরকারকে আয়কর দিতে হবে না।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version