এক নজরে

দল ভাঙানো ও মুকুল রায়

By admin

June 12, 2021

কলকাতা ব্যুরো: বিজেপি ছেড়ে মুকুল রায় তৃণমূলের যোগ দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তাকে নিয়ে পল্লবীত হল নানান কথা। যে দল ভাঙ্গানোর জন্য তৃণমূল-বিজেপি কে কাঠ গড়ায় তোলে, মুকুল রায় নাকি এই ২৪ ঘন্টায় সেই কাজটাই করেছেন, এমনই অভিযোগ বিজেপির তরফে। যদিও বরাবরই তৃণমূলের চাণক্য মুকুল রায় এই কাজে পারদর্শী বলে তার অতি বড় শত্রুও তাকে সার্টিফিকেট দেন।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই মুকুল ও ছেলে শুভ্রাংশু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন। রাজ্য সরকার মুকুলকে ওয়াই প্লাস ও শুভ্রাংশুকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে। যদিও শনিবার সকালেও মুকুল রায়ের সল্ট লেকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও। কিন্তু এদিন খবর ছড়িয়েছে, গতরাত থেকে মুকুল রায় বিজেপিতে থাকা অন্তত ১০ বিধায়ককে ফোন করেছেন তৃণমূলে ফেরার জন্য। তালিকায় উত্তরবঙ্গের এক সাংসদও নাকি রয়েছেন। যাদের তিনি ফোন করেছেন তাদের একাংশ বিজেপিকে এই তথ্য দিয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছে যদিও মুকুল রায়ের তরফে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি এদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের কুণাল ঘোষের বাড়িতে যাওয়ায় নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় কুনালের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজিব এটিকে সৌজন্য সাক্ষাতকার বলে দাবি করলেও, তার তরফে বিজেপিতেই থাকব র মতো এমন কোন কথা জোর দিয়ে বলা হয়নি। বরং এদিনও তার ফেসবুকের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে তার মুখে। যেখানে কোথাও বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসা তৃণমূলকে কোন আক্রমণ করা থেকে বর্তমান তার দল বিজেপি কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মুকুল রায়কে আমাদের নেতা, আমাদের দাদা বলে সম্বোধন করেছেন রাজিব। যদিও হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি রাজিব সহ যারা ভোটের আগে দল ছেড়ে গিয়েছেন তাদের দলে না ফেরানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে দলকে আমার মতামত জানাবো।

এই অবস্থায় রাজীবের মতো বিধাননগরের আরেক নেতা সব্যসাচী দত্তর তৃণমূলের ফেরা নিয়ে প্রবল দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। সব্যসাচীর একেবারে উল্টো পিঠে থাকা সুজিত বসু এদিন ঠারে ঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সব্যসাচী কে তৃনমূলের নেওয়া হলে তিনি আপত্তির কথা দলকে জানাবেন।যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার দলে কাদের নেওয়া হবে আর কাদের হবে না, সে ব্যাপারে যে মাপকাঠির কথা বলেছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। একদিকে বিধানসভা ভোটের আগে যারা দল ছেড়েছেন তাদেরকে তিনি ফেরাতে চান না বলে জানিয়েছেন। পরক্ষণেই তিনি নরমপন্থী ও চরমপন্থী উদাহরণ টেনেছেন। আবার শেষে বলেছেন, যারা ভদ্র ডিসেন্ট তাদের ব্যাপারটা অন্য। ফলে আদবে কাদের দলে ফেরানো হবে তা একেবারেই নেত্রীর অথবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে ছাড়া যে হবে না, সেটা জানেন তৃণমূলের সকলেই।