কলকাতা ব্যুরো: হিমাচল প্রদেশ জানে পর্যটনশিল্প না বাঁচলে রাজ্য বাঁচবে না। তাই করোনা একটু নিয়ন্ত্রণে আসতেই সেখানে পর্যটকদের যাতায়াতে রাস্তা প্রায় উন্মুক্ত করে দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। এমনকি অন্যান্য রাজ্যে এখন পর্যটকদের যেতে হলে হাতে করে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট বহন করতে হয়। কিন্তু গত ১৫ জুন থেকে পর্যটকদের সেই পরীক্ষা ছাড়াই সেখানে ঢোকার অনুমতি দেওয়ায়, এখন কাতারে কাতারে গাড়ির ভিড় সিমলা, মানালির সড়কে।সিমলার পুলিশ সুপার বলেছেন, সপ্তাহের ছুটির দিনগুলিতে গড়ে পাঁচ হাজার করে গাড়ি সেখানে ঢুকছে। ফলে যানজট লেগে থাকছে।আর এই আবহেই হিমাচল যাওয়ার জন্য পর্যটকদের খুশির খবর দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আগামী দু’বছরের মধ্যে দিল্লি থেকে কুল্লু সড়কপথে সাত ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে বলে আশ্বস্ত করলো কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি হিমাচলে একটি রাস্তার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে এই আশ্বাস দেন। বর্তমানে চন্ডিগড় থেকে সড়কপথে মানালি পৌছতেই সময় লাগে প্রায় ন’ ঘন্টা। হিমাচলে একটি জাতীয় সড়কের কাজের সূচনা করতে গিয়ে গরকরি বলেছেন, দীর্ঘ সময় যদি রাস্তায় কেটে যায়, তাহলে মানুষের বেড়ানোর আনন্দ মাটি। তাই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দিল্লি থেকে কুল্লু পর্যন্ত দু’বছরের সময়ের আগেই সড়ক পথে পর্যটকরা সাত ঘন্টায় যাতে পৌঁছতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
এদিন ৬১৫৫ কোটি টাকার একটি সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে ছিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দিল্লি থেকে কাটরা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে লুধিয়ানা যাবে। সেখান থেকে রুপনগর পর্যন্ত রাস্তা দীর্ঘায়িত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে দিল্লি, লুধিয়ানা, রূপনগর চার লেনের রাস্তা হবে কুল্লু পর্যন্ত। সাত ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি থেকে কুল্লু পর্যটকরা পৌঁছে যাবেন।শুধু হিমাচল নয়, দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডের পৌঁছনোর রাস্তায় তৈরি করছে জাতীয় সড়ক কর্তপক্ষ। দিল্লি থেকে দেরাদুন এবং দিল্লি থেকে হরিদ্দার ও দিল্লি থেকে চন্ডিগড় এর মধ্যে দু’ঘণ্টা পৌঁছানোর জন্য ঝাঁ-চকচকে রাস্তা বানাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় জাতীয় সড়ক মন্ত্রী এদিন হিমাচলে গিয়ে রোটাং পাস পৌঁছান। রোটাং টানেল দেখার পর তিনি জানান, আগামী দিনে কাশ্মীরের জোজিলা পাস টানেল তৈরি কেন্দ্রের একটা বড় প্রকল্প। মানালি হাই তৈরি করা কেন্দ্রের আগামী দিনের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এমনিতেই হিমাচল প্রদেশ সরকার সেখানে ৪০ কিলোমিটার একটি রাস্তার জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।