কলকাতা ব্যুরো: ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত হাতে নেওয়ার পর শুক্রবার পর্যন্ত পৃথক পৃথক ঘটনায় ১১ টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। তারমধ্যে দশটি খুন ও মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে একটি গণধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই রাজ্যের সব অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে চারটি দল গঠন করেছে। প্রায় ১০০ জন অফিসার ও কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে তদন্তের জন্য।যাদের প্রায় সকলেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। শুক্রবার তদন্তকারী দল প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া যায় খুনের অভিযোগে ঘটনাস্থল দেখতে। পরে সেই দলটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা এলাকায় পৌঁছয়। কারণ সেখানেও ভোট-পরবর্তী হিংসায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সিবিআই যে দশটি খুনের ঘটনায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে, তার তিনটি নদীয়া জেলায়, বাঁকুড়ায় দুটি, কলকাতায় একটি, কোচবিহার, পূর্ব বর্ধমান ও দুই ২৪ পরগনায় একটি করে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার কলকাতার নারকেলডাঙ্গায় ভোটের মধ্যে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিভাবে দুষ্কৃতীরা তার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে মারে, সেই ছবি পুনরায় নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা।ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটি হিংসা নিয়ে যে রিপোর্ট হাইকোর্টকে দিয়েছিল, তাতে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও সিবিআই সেই রিপোর্ট ধরেই তদন্তে নেমেছে। রাজ্যের বর্ষিয়ান এক পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, সবে ১১ টি অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। আরো কত ডজন মামলা হবে, এখন সেদিকেই তাকে থাকতে হবে। এরপরে শুধু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করাই নয়, সব ঘটনায় কতগুলি থানার ওসি ও অন্য অফিসার থেকে আইপিএসদের সিবিআই তলব করে, এখন সেই প্রমাদ গুনছেন রাজ্যের বর্ষীয়ান পুলিশ কর্তারা।