কলকাতা ব্যুরো : টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে গতকাল নিউটাউনে হানা দেয় পুলিশ। হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর জাল নথি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিউটাউনের পারুলিয়ার বাড়ি ভাড়া নিয়ে কলসেন্টার খুলে বসে প্রতারকরা। প্রতিদিনই নতুন নতুন লোক সেখানে যাওয়া আসা করত। সেই দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপরই ওই অফিসে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দুজন অসমের বাসিন্দা। তৃতীয়জন উত্তরদিনাজপুর এবং শেষের জন লেকটাউনের বাসিন্দা। ওই কল সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে কলকাতায় ভুয়া কল সেন্টার খুলে অনেকগুলি প্রতারণার অভিযোগ আসে। পুলিশের কাছে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল সেসময়। ন জনকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেইসঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা ল্যাপটপ এবং মার্সিডিজ গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার একটি আবাসন ও প্রতাপাদিত্য রোডের একটি বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার কারবার চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ এবং ৯ জনকে গ্রেফতার করে।
কলকাতার কুখ্যাত তোলাবাজ শেখ বিনোদ কেও গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে কল সেন্টার খুলে প্রতারণার সমস্ত বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে। প্রগতি ময়দান থানা এলাকার একটি আবাসন ও প্রতাপাদিত্য রোডের একটি বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা করার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়। সেই অনুযায়ী দুটি জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের নাম ছিল সন্দীপ কুমার সাউ, রাব্বানী মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ ইজাজ খান। প্রত্যেকেই এরা কলকাতার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে চার লাখ ছয় হাজার টাকা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।