কলকাতা ব্যুরো: সব জল্পনার অবসান। অবশেষে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি বা এআইসিসি-এর সদর দফতরেই কংগ্রেসে যোগদান করেন। তার আগে দেখা করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে।
এদিন কংগ্রেসে যোগদানের পর সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসে যোগদান করলাম কারণ, কংগ্রেস কোনও দল নয়। একটা ভাবনা।’’ পাশাপাশি কংগ্রেসকে তিনি দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক শব্দটির উপরই বেশি জোর দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, কংগ্রস ছাড়া এই দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না।
কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনা আরও বাড়ে দিন তিনেক আগে। একটি সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়, কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদান প্রায় পাকা। আজ, মঙ্গলবারই তিনি রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের সতীর্থ হলেন। সত্যি হলো সমস্ত জল্পনাই।
এদিন যোগদানের পর কানহাইয়া জানান, কংগ্রেস একটা বড় জাহাজের মতো। যদি এটাকে রক্ষা করা যায়, তাহলে অনেক মানুষের আশা, মহাত্মা গান্ধীর একতার মন্ত্র, ভগৎ সিংয়ের সাহস ও বিআর আম্বেদকরের সাম্যবাদের ভাবনা রক্ষা পাবে। সেই কারণেই তিনি কংগ্রেসে যোগদান করলেন বলে জানিয়েছেন।
তবে এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর কানহাইয়ার যোগদানের মঞ্চে উপস্থিত থেকেও কংগ্রেসে শরিক হলেন না গুজরাতের আরডিএএম-এর বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি৷ এদিন তাঁরও যোগদানের কথা ছিল। জিগনেশ জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন কিন্তু একজন নির্দল বিধায়ক হিসেবে তিনি যদি কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাহলে তাঁর পদ চলে যাবে। তাই তিনি যোগদান করছেন না।