কলকাতা ব্যুরো: রানওয়েতে ফাটলের জের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর একটার পর ফের পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল দেখা যায়। তার ফলে এদিন বন্ধ হয়ে যায় বিমান ওঠানামা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় ফাটল সারাইয়ের কাজ। প্রথমে মনে করা হয় সকাল ১১টা থেকে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে যায়। সকাল ১১টায় বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’ঘণ্টা পর বেলা একটা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।
বায়ুসেনার আর্জি মেনে রানওয়ে সংস্কারের প্রয়োজনে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল বাগডোগরা বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৩৬টি বিমান ওঠানামা করে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। এছাড়াও বাগডোগরা হয়ে বেশ কিছু বড় বিমান চলাচল করে। আবার এই বিমানবন্দরের উপর নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের পাশাপাশি সিকিম, বিহার ও অসম রাজ্যের মানুষও নির্ভরশীল।
বিমানবন্দর একটানা বন্ধ থাকলে পর্যটন-সহ অন্য ব্যবসায় জড়িত বহু মানুষের রোজগারে ধাক্কা লাগবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ওই বিমানবন্দর বন্ধের খবর মিলতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ী-সহ সাধারণ যাত্রীদের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।