ভুরিভুরি অভিযোগ তৃণমূলের
কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে পাঁচ জেলার ৩০ টি বিধানসভার নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৩৬% ভোট পড়েছে। এরইমধ্যে সকাল থেকে এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার, বোমাবাজি, থানার ওসির জখম হাওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানোর থেকে ইভিএমে কারচুপি — ভুরিভুরি অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এই অভিযোগের সিংহভাগই উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফে। পরিস্থিতি এমনই, বেলা বারোটা বাজার আগেই ডেরেক ও ব্রায়ন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতন ১০ জন হেভিওয়েট তৃণমূলের নেতা- মন্ত্রী অভিযোগ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতার নির্বাচন কমিশনের অফিসে।
\প্রথম দফার নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে। বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এরইমধ্যে বর্তমানে বিজেপিতে চলে যাওয়া এক প্রক্তন তৃণমূল নেতাকে তার হয়ে নন্দীগ্রামে কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অধিকারী পরিবারের প্রতি ভরসা রাখা সেই প্রলয় পাল কেউ ফোনেই বিনয়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আবেদনে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া জবাব দিতে শোনা যায় যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যাসত্য যাচাই করে নিন কলকাতা ৩৬১।
প্রথম দফার ভোটে ত্রিশটি বিধানসভার মধ্যে অন্তত পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটি বিধানসভা এবং পুরুলিয়ায় বিজেপি তৃণমূলকে বাড়তি চাপে রেখেছে, অন্তত রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগের বহর দেখে সে ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আবার একদা জঙ্গলমহল কাঁপানো সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ কে তার বিধানসভা এলাকায় দৌড়ানোর ছবিও দেখা গেল ক্যামেরার সামনেই।
প্রথম দফার নির্বাচনে পাঁচটি জেলার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটি বিধানসভা যে সবচেয়ে বেশি দু পক্ষের কাছেই চ্যালেঞ্জের, তার আঁচ আগেই আমরা দিয়েছিলাম। কারন গত চার দশক ধরে পূর্ব মেদিনীপুর ছিল অধিকারী পরিবারের খাসতালুক। বাম আমলেও যার অন্যথা হয়নি। এই অবস্থায় ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে পূর্ব মেদিনীপুর ছিল তৃণমূলের কাছে অন্তত অধিকারীদের ইজারা দেওয়া এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী এখন যেমন নিজেই স্বীকার করছেন, এতদিন অধিকারীদের জন্যই তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকতে পারেননি। ফলে এই অবস্থায় অধিকারীরা বিজেপিতে চলে যাওয়ায় আদবে পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের পক্ষে কতটা ভরসা রাখবে তাই এখন ভাবাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে।