কলকাতা ব্যুরো: বিরোধীদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে শরদ পওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও শেষপর্যন্ত তিনি রাজি হননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে দিল্লিতে যে বিরোধী বৈঠক হয়েছিল, সেখানে এরপর ভেসে এসেছিল দু’টি নাম। তাঁদের মধ্যে একজন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ শনিবার জানিয়ে দিলেন, তিনি প্রার্থী হতে চান না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ফারুক জানিয়েছেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে আমার নাম আমি প্রত্যাহার করে নিলাম। আমি মনে করি জম্মু ও কাশ্মীর একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এবং আমি এই অনিশ্চিত সময়কে অতিক্রম করে যাওয়ার দিকেই আমার চেষ্টা জারি রাখব।
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখনও সক্রিয় রাজনীতিতে আমার অনেক কিছু করার আছে। এবং জম্মু ও কাশ্মীর ও দেশের হয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী। মমতাদিদি আমার নাম প্রস্তাব করেছেন, এতে আমি কৃতজ্ঞ। এছাড়াও আরও যে সব সিনিয়র নেতারা আমার নাম প্রস্তাব করেছেন তাঁদের সকলের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।
গত মঙ্গলবার বিরোধীদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে শরদ পওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি রাজি হননি। মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠকেই এনসিপি সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি প্রার্থী হতে চান না। পাশাপাশি আরও যে দুটি নাম ভেসে আসে তার মধ্যে একটি নাম ছিল ফারুক আবদুল্লাহর। অপরজন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।
সূত্রের দাবি, বিরোধীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁদের নাম প্রস্তাব করেন। গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। একাধিক দেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। তাঁর আরও একটি পরিচয় হল তিনি গান্ধীজির দৌহিত্র। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই শিবিরের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভাল। এর আগে ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি পদেও লড়াই করেছেন তিনি। যদিও রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, এখনই এ নিয়ে কিছু বলার সময় আসেনি। এর মধ্যেই সরে দাঁড়ালেন আবদুল্লাহ।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে গত ১৫ জুন থেকে। ২৯ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ৩০ জুন মনোনয়ন খতিয়ে দেখা হবে। মনোনয় প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ জুলাই। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ২১ জুলাই ফল ঘোষণা।