কলকাতা ব্যুরো: কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় সোমবার দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কৃষকদের বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, বামপন্থী দলগুলি। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি, আম আদমি পার্টি সহ মোট ১২টি বিজেপি বিরোধী দল এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই দিল্লি-পঞ্জাব-হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে এই বনধের প্রভাব চোখে পড়েছে। রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে কৃষক। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানা এবং অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়কও। গাজিপুরেও বিঘ্নিত হয়েছে ট্রাফিক পরিষেবা।
পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু বর্ডার ব্লক করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে কৃষকরা। এদিকে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের কাছে শাহাবাদ অঞ্চলে দিল্লি-অমৃতসর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। গাজিপুর সীমানাতেও চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্ডিত শ্রীরাম শর্মা স্টেশনের এন্ট্রি ও এক্সিট গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, অ্যাম্বুল্যান্স সহ জরুরি পরিষেবার কোনও গাড়ি আটকানো হচ্ছে না। কোনও রাস্তাই সিল করা হয়নি। কেবলমাত্র কেন্দ্রকে একটা বার্তা পৌঁছনোর হচ্ছে বলেই জানান তিনি। বিকেল ৪টে পর্যন্ত সমস্ত দোকানদারদের দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধও করেছেন টিকাইত।
এদিকে হরতালের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানা। স্তব্ধ হয়েছে যান চলাচল। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ট্র্যাফিক সিগনালে। সপ্তাহের প্রথম দিন সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর পাশাপাশি এ রাজ্যেও সাড়া পড়েছে ভারত বনধের। সকাল থেকেই জেলায় জেলায় চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। বনধের সমর্থনে সকাল থেকেই রাস্তায় বাম এবং SUCI কর্মীরা। যাদবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করে বামপন্থীরা। চলে স্লোগানিং। পাশাপাশি, বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের শিলদা বাজারে মিছিল করে SUCI এবং তাদের কৃষক সংগঠন AIKKMS। তবে পরিবহণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ধর্মঘটের সামান্য প্রভাব পড়লেও দোকান বাজার কিংবা অন্য ক্ষেত্রে সেভাবে প্রভাব পড়েনি ধর্মঘটের। তবে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় রয়েছে পুলিশ বাহিনী।হাওড়ার শানপুর মোড়ে বাম শ্রমিক, ছাত্র-যুব, মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে চলছে পিকেটিং। তবে বামেরা পথে নামলেও ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়তে দেখা যাচ্ছে না জনজীবনে। খোলা রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাটই। অফিসযাত্রীদের আনাগোনাও স্বাভাবিক।