কলকাতা ব্যুরো: লোকসভার পর সোমবার রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেলো কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১ ৷ ঠিকমতো আলোচনা ছাড়াই সংসদের দুই কক্ষে এদিন যেভাবে এই বিল পাশ হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷

তবে কৃষি আইন বাতিল বিল, ২০২১ পাশ হয়ে গেলেও এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করতে রাজি নন কৃষকরা ৷ কৃষিজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি স্থির করা-সহ অন্যান্য দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই ৷ সোমবার একথা স্পষ্ট করে দেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। এদিন এই প্রসঙ্গে রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘‘একটি আইন অস্বীকার করে কেন্দ্র আসলে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে কৃষকদের লুঠ করার রাস্তা খুলে দিতে চাইছে ৷ ৪ ডিসেম্বরের পরই আমরা আন্দোলনের পরবর্তী রণকৌশল স্থির করব ৷’’ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা আন্দোলন প্রত্যাহার সম্পর্কে রাকেশকে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি জবাব এড়িয়ে যান ৷

প্রসঙ্গত, রবিবারই রাকেশ টিকায়েত কেন্দ্রের কাছে এমন একটি আইন আনার দাবি তুলেছিলেন, যা কৃষিজ পণ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা স্থির করবে ৷ এই প্রসঙ্গে রাকেশ বলেন, ‘‘কৃষকরা যাতে অবশ্যই তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে একটি আইন আনুক সরকার ৷ কৃষি এবং শ্রম ক্ষেত্রে এমন অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলি নিয়ে ভাবনা, চিন্তা করা দরকার ৷ এই সমস্য়াগুলি তুলে ধরতে আমরা গোটা দেশ থেকে এখানে এসে জড়ো হব ৷’’

এমএসপি নিয়ে কৃষকদের অনড় মনোভাব দেখে পদক্ষেপ করার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রও ৷ শনিবারই কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানান, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি যাতে স্বচ্ছভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য, কমিটি গড়েই কৃষকদের এমএসপি সংক্রান্ত দাবি পূরণের বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে সরকার ৷ তাই কৃষকদের কাছে আন্দোলন প্রত্যাহারেরও আবেদন জানান তিনি ৷ কৃষকদের প্রতি তাঁর আর্জি, এবার আপনারা ‘‘বাড়ি ফিরে যান’’ ৷

উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর গুরুনানকের জন্মদিনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময়েই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ কৃষকরা সরকারের সেই পদক্ষপকে স্বাগত জানালেও তখনই স্পষ্ট করে দেন যে শুধু আইন প্রত্যাহার করলেই চলবে না, একইসঙ্গে আন্দোলনের অন্যান্য দাবিদাওয়া পূরণ করতে হবে ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version