মৈনাক শর্মা

আন্দোলন থেকে শুরু করে বিনোদনের সব ক্ষেত্রেই সমাজের অঙ্গ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। আন্দোলন ও বিনোদনের ফলে দুনিয়াতে শান্তি ও মানবাধিকারের ভারসাম্যের সমান ভাবে নজরদারি রাখতে বেড়েছে দায়িত্ব। এই নিয়ে নির্দিষ্ট নীতিও মেনে চলে ফেসবুক ও টুইটার। নিজেদের নীতির উপর জোর দিতে পক্ষপাত করতেও রাজি নয় এই দুই সামাজিক সংস্থা। আমেরিকার থেকে শুরু করে দিন প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের সরকারের আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে ফেসবুক টুইটারকে। তবে এইবার পাক সরকারের আক্রোশের শিকার হতে পারে ফেসবুক ।

আন্তর্জতিক শান্তি রক্ষার জন্যে মিথ্যা প্রচার বন্ধের লক্ষে নিজেদের তৈরী Coordinated Inauthentic Behavior Report May-2021 নামে রিপোর্ট পেশ করে ফেসবুক। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা প্রচার করে রাশিয়া ও পাকিস্থান। রিপোর্টে এ-ও জানান হয়, ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে দুনিয়াতে ভারতের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা করতে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে পাকিস্থান। এই মিথ্যা প্রচারের নেপথ্যে রয়েছে চিন সমর্থিত পাক সেনা। ফেসবুকের রিপোর্ট অনুযায়ী, কাশ্মির সমস্যাকে নিয়ে দুনিয়ায় দিল্লিকে খোঁচা দিতে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে পাক সেনা। ভারতে বাড়তে থাকা করোনায় মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা প্রচারকে আরো বাড়াতে আলফাপ্রো নামে একটি সংস্থা তৈরী করে ইসলামাবাদ। ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ তৈরী করে ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে আলফাপ্রো। ভারত বিরুদ্ধ আলোচনার জন্যে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে ফেসবুক। পাকিস্থানি সংস্থা আলফপ্রোর ৪০ টি ফেক ফেসবুক ও ২৮ টি Instagram একাউন্ট খুজে ডিলিট করে ফেসবুক।

এই সিদ্ধান্তর পরই রোষের মুখে পড়তে হয় ফেসবুককে। পাক সরকারের তৈরী কাশ্মির পার্লমেন্টারি কমিটির প্রধান শাহরিয়ার খান আফ্রিদি ফেসবুকের উপর নিষেধজ্ঞা জারির আর্জিও করে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির কাছে। এর আগেও নাইজিরিয়ার রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত মন্তব্যকে ডিলিট করার জন্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় টুইটারের উপর। টুইটার ছেড়ে ভারতীয় কু ব্যবহার শুরু হয় সে দেশে। তবে দুনিয়াতে নিজেদের ধারাবাহিক বক্তব্য পৌঁছাতে ফেসবুক ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম নেই পাকিস্থানের। দিল্লির মতনই কঠোর আইনের পথে যাওয়া ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version